গাছ থেকে আম পেড়েছিল। সেই অপরাধে জুতোর মালা পরিয়ে যুবককে গ্রামে ঘোরানো হলো। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী হলেন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। ঘটনা মালদহের রতুয়া থানার মাকাইয়া ২ নম্বর কলোনির।
ঘটনার সূত্রপাত মঙ্গলবার সন্ধেয়। সাহিন আখতার নামে বছর ১৮ র ওই যুবক রতুয়া থানার দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া ২ নম্বর কলোনির বাসিন্দা শামিম আখতারের গাছ থেকে আম পেড়ে খায়। অভিযোগ, ওই রাতেই শামিম লোকজন নিয়ে শাহিনের বাড়িতে চড়াও হয়। ব্যাপক মারধর করে সাহিনকে। বুধবার সকালে গলায় জুতোর মালা পরিয়ে গ্রামে ঘোরায়। এমনকী বৃহস্পতিবার মাথা কামিয়ে মুখে চুনকালি ঢেলে গ্রামে ঘোরানো হবে বলে হুমকিও দেওয়া হয়।
এই অপমান সহ্য করতে পারেনি যুবক। বৃহস্পতিবার সকালে ঘর থেকে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। রতুয়া থানার পুলিশ সাহিনের মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়৷
সাহিনের আত্মীয় মহম্মদ জালালউদ্দিন, হুমায়ুন রেজাদের অভিযোগ, মঙ্গলবার বিকেলে সাহিন এলাকার বাসিন্দা শামিমের গাছ থেকে আম পেড়ে খেয়েছিল৷ তার জেরে রাতেই বাড়িতে এসে তারা সাহিনকে মারধর করে৷ সাহিনের বাবা শামিম আখতার, সাহাবুদ্দিন, সামশেরা বিবি ও সালেমা বিবি নামে চারজনের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন৷ এদিকে ওই যুবকের বন্ধুর অভিযোগ, গ্রামের একটি শামিমের মেয়ের সঙ্গে ওই যুবকের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির পরিবার সে সম্পর্ক মানতে চায়নি। তার উপর আম পেড়েছিল বলে আরও চটে যায় ওই মেয়েটির পরিবার। রতুয়া থানার ওসি কুণালকান্তি দাস বলেন, ” চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে।”