দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। তার প্রভাব এসে পড়েছে তিরুপতি মন্দিরেও। বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দিরের কর্মীদের বেতন অনিশ্চিত। দিন কয়েক আগেই ১৩০০ কর্মীকে ছাঁটাই করেছিল মন্দির কর্তৃপক্ষ। এবার কাটছাঁট হতে চলেছে কর্মীদের বেতনও।
লকডাউনের জেরে বন্ধ মন্দির। এই মন্দিরের আয়ের বড় উৎস প্রণামী। সেই উৎস এখন বন্ধ। তার জেরেই কর্মীদের বেতন হয়ে পড়েছে অনিশ্চিত। কর্তৃপক্ষের দাবি, লকডাউন শুরু হওয়ার পর বেতন-সহ বিভিন্ন খাতে মোট ৩০০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তিরুমালার তিরুপতি দেবস্থানমের ৪০০ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে। বেতন দেওয়ার মতো নগদ টাকা মন্দির ট্রাস্টের হাতে নেই। তবে ব্যাঙ্কে আট টন সোনা আছে মন্দিরের নামে। যার আনুমানিক বাজারমূল্য ১৪ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু কর্তৃপক্ষ সেই সোনাতে হাত দিতে নারাজ।
মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ওয়াইভি সুব্বা রেড্ডি বলেন, “বেতন, পেনশন বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়। সারা বছরের পরিমাণ আড়াই হাজার কোটি টাকা। লকডাউনের জেরে মন্দিরের আয় প্রায় নেই বললেই চলে। তাই বার্ষিক বাজেট কমাতে হচ্ছে।” প্রণামী এবং জিনিস বিক্রি করে মাসে প্রায় ২০০ থেকে ২২০ কোটি টাকা আয় হয়। গত দু’মাসে সেই আয়ে ভাটা পড়েছে।