রাজ্যের করোনা-যুদ্ধে কোনও গঠনমূলক পরামর্শ ছাড়াই ফের টুইট যুদ্ধে রাজ্যপাল

0
1

শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী দলের জেলার নেতাদের বলেছেন, ‘রেশন নিয়ে ‘বেয়াদপি’ বরদাস্ত করা হবে না৷’ বিরোধীদের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রচারে নামতে জেলা সভাপতিদের নির্দেশও দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷

ওদিকে, শুক্রবারই রাজ্য বিজেপি’র নেতারা ফের রাজ্যপালের কাছে গিয়ে অনেক নালিশ জানিয়ে এসেছেন৷

বিজেপি’র দেওয়া ‘তথ্য’ হাতে পেয়ে তাই আর দেরি না করে শনিবার সকাল সকালই ফের টুইট-যুদ্ধে নেমে পড়লেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷

এদিন টুইট করে ফের রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। রাজ্যের রেশন ব্যবস্থাকে রাজনীতি মুক্ত করার আবেদন জানিয়ে টুইট করেছেন তিনি৷ বাংলাতেই পরপর দুটি টুইট করেন রাজ্যপাল৷

প্রথমটিতে বলেছেন,
“আপনার রাজ্যপাল
আপনার সেবক
প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ অন্ন যোজনার মাধ্যমে 4,78,000 মেট্রিক টন চাল বিনামূল্যে কেন্দ্রীয় সরকার পশ্চিমবঙ্গকে দিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় সরকার বিনামূল্যে রেশন দিচ্ছেন: জনপ্রতি মাসিক 5 কেজি চাল এবং পরিবারপ্রতি মাসিক 1 কেজি ডাল৷”

দ্বিতীয় টুইটে বলেছেন,

“আপনার রাজ্যপাল
আপনার সেবক
পিডিএসকে রাজনীতির বন্ধন থেকে মুক্ত করতে হবে;আধিকারিকদের অরাজনৈতিকভাবে কাজ করতে হবে; অবৈধ মজুতদারদের আটকাতে এবং কালোবাজারি হাঙ্গরদের তাড়াতে হবে;
গরিব মানুষ যাতে সঠিক মাত্রায় সঠিক গুনমানের রেশন বিনামূল্যে ন্যায্যভাবে পান তা নিশ্চিত করুন৷”

রাজ্যের রেশন ব্যবস্থা নিয়ে গত সপ্তাহ থেকেই একের পর এক এক টুইট করে চলেছেন রাজ্যপাল৷
রেশন ব্যবস্থা নিয়ে রাজনীতি হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি৷ মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতেও রেশন ব্যবস্থাকে রাজনীতিমুক্ত করার কথা বলেছিলেন রাজ্যপাল।

প্রশাসনের তরফে এ সব টুইটের উত্তর দেওয়া হয়নি৷ বরং রাজ্যপাল তথা বিজেপিকে কার্যত সতর্ক করে শুক্রবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের জেলার নেতাদের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ ধরনের প্রচারের প্রতিবাদে পাল্টা পথে নামার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন,”রেশন নিয়ে বিজেপি পরিকল্পিতভাবে ‘ভুল’ বোঝাচ্ছে৷ ঠিক বোঝানোর জন্য এখনই দলীয় নেতাদের সক্রিয় হতে হবে৷ করোনা- সংকটকালে বিজেপি নেতারা রাজ্যের মানুষের জন্য কিছুই করতে পারেননি এবং তাঁরা জনসাধারণের থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছেন৷ জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বলেই বিজেপি এখন রেশন নিয়ে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালিয়ে সরকারকে হেয় করতে চাইছে, সে চেষ্টা সফল হতে দিলে চলবে না৷ জোরদার প্রচারে নেমে বলতে হবে, পশ্চিমবঙ্গ সরকারই সবচেয়ে ভাল মানের চাল দিচ্ছে৷ রাজ্য সরকারই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষকে রেশন দিচ্ছে এবং কেন্দ্র কিছুই দেয়নি৷”

রাজনৈতিক মহলের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী দলীয় নেতাদের এ ধরনের অপপ্রচারের বিরুদ্ধে এখনই প্রচারে নামার নির্দেশ দেওয়ায় বিজেপি এবং রাজ্যপাল কিছুটা অস্বস্তিতে পড়েছে৷ তাই ‘চাপ’ কাটাতে রাত কাটতেই রাজ্যপালের এই টুইট যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ৷ রাজ্যপাল ফের টুইট অথবা পত্রযুদ্ধের পথেই নামতে পারেন বলেই রাজনৈতিক মহলের ধারনা৷