ছিলেন কাউন্সিলর, হয়ে গেলেন ‘কো-অর্ডিনেটর’৷
কলকাতা পুরসভার ১৪৪ জন কাউন্সিলরের এমনই রূপান্তর ঘটলো৷
গত বৃহস্পতিবার কলকাতা পুরসভার ৫ বছরের মেয়াদ শেষ হয়েছে। রাজ্যের পুর দফতর কলকাতা পুরসভা পরিচালনার জন্য এক প্রশাসকমণ্ডলী গঠন করেছে৷ পুর দফতর মোট ১৪ জনের এই প্রশাসকমণ্ডলীর মাথায় রেখেছে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার বিদায়ী মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে৷
প্রশাসক বোর্ডের কাজের ধরন কেমন হবে, তা ব্যাখ্যা করে ফিরহাদ হাকিম বলেছেন, “লকডাউন পরিস্থিতিতে মানুষের কাছে সঠিকভাবে পরিষেবাগুলি পৌঁছে দিতে এই সিদ্ধান্ত।” এই সংকটকালে কলকাতা শহরের জরুরি পরিষেবা চালু রাখতে স্থির হয়েছে,
◾ সদ্য মেয়াদ শেষ হওয়া কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলর ও বরো চেয়ারম্যানরা এখন থেকে ‘ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর’ ও ‘বরো কো-অর্ডিনেটর’ হিসাবে কাজ করবেন৷
◾ বিদায়ী বোর্ডের পদাধিকারীদের যাঁর হাতে যে ক্ষমতা ছিল, নতুন প্রশাসক বোর্ডেও তাঁদের হাতে সেই ক্ষমতাই থাকছে৷
◾উত্তর কলকাতার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের কাজকর্ম তদারিক করবেন অতীন ঘোষ৷
◾দক্ষিণ কলকাতার ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের কাজকর্ম দেখবেন দেবাশিস কুমার৷
◾বেহালায় ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটরদের দায়িত্বে অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়৷
◾গার্ডেনরিচ এলাকায় এই কাজ করবেন সামসুজ্জামান আনসারি।
◾আগামীদিনে সদ্যগঠিত প্রশাসক মণ্ডলীর সভা ডাকার জন্য পুর কমিশনার খলিল আহমেদকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
◾প্রশাসকমণ্ডলীতে পুরসভার ২ জন বিশেষ কমিশনারকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
◾ফিরহাদ হাকিম, অতীন ঘোষ, দেবাশিস কুমার, ২ জন স্পেশাল কমিশনার, পুরসভার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক এবং আরও এক স্বাস্থ্যকর্তাকে নিয়ে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি প্রতিদিন বিকেলে বৈঠকে বসবে। কোন কোন ওয়ার্ডে করোনার কী অবস্থা এবং কীভাবে তা মোকাবিলা করা সম্ভব, তা সেই বৈঠকে স্থির হবে।
ওদিকে, প্রশাসক নিয়োগ নিয়ে ইতিমধ্যেই কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়েছে। আদালত কলকাতা পুরসভার সদ্যঘোষিত ‘প্রশাসক মণ্ডলী’কে ‘কেয়ারটেকার’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে৷ ১৪ সদস্যের এই বোর্ডকে আগামী ১ মাস কাজ করার সুযোগ দিয়েছে হাইকোর্ট। এই প্রসঙ্গে কলকাতা পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, “১ মাস সময় দিয়েছে হাইকোর্ট। ১ মাস পার হলে আমরা আদালতে যাবো”৷