লকডাউনে ভিন রাজ্যে আটকে থাকা পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য বিশেষ ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে রেলের পক্ষ থেকে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধের পর পশ্চিমবঙ্গ সরকার অনুমতি মিলেছে। এবং তারপরই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে রেলের তরফে। কিন্তু বাংলা আগে ট্রেন চায় নি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আর্জির পরই তারা অনুমতি দিয়েছে।
আজ, শনিবার রাতে টুইট করে স্পষ্ট ভাষায় এমনটাই দাবি করেছে রেলমন্ত্রক। এদিন রাত সাড়ে আটটার পর রেলমন্ত্রকের তরফে জানানো হয়, “দেশজুড়ে পরিযায়ী শ্রমিকদের ঘরে ফেরাতে ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩০০টি ট্রেন চালানো হয়েছে। মূলত, উত্তর প্রদেশ, বিহার, ওড়িশা, মধ্যপ্রদেশে-সহ বেশকিছু রাজ্যের জন্য এই ট্রেন চালিয়েছে ভারতীয় রেল। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে আজ সকাল পর্যন্ত মাত্র দুটি বিশেষ শ্রমিক ট্রেনের অনুমতি মিলেছে। একটি আজমের শরিফ থেকে এবং অপর ট্রেনটি এর্নাকুলাম থেকে।”

ঠিক তারপরই দ্বিতীয় একটি টুইট করে রেলমন্ত্রক দাবি করে, “আজ দুপুরের পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে আরও ৮টি ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়। যার মধ্যে ২টি করে ট্রেন পঞ্জাব ও তামিলনাড়ু থেকে, ৩টি ট্রেন কর্ণাটক ও ১টি ট্রেন তেলেঙ্গানা থেকে”।

এদিকে, রেলমন্ত্রকের এমন দাবির পর রাত ১১টা নাগাদ পাল্টা একটি টুইট করেন পশ্চিমবঙ্গের স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, “রেলমন্ত্রকের টুইট সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর এবং অসত্য। এক্ষেত্রে রেলের উল্লেখ্য করা সবকটি ট্রেন সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির সঙ্গে আলোচনার পর ৮মে অর্থাৎ গতকালই চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে আজ নতুন করে কোনও আলোচনা ও সিদ্ধান্তই নেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নিয়ে আলোচনা হবে। তবে রেলের টুইটে উল্লেখ করা সংশ্লিষ্ট ৮টি ট্রেনের বিষয়ে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল”।

সব মিলিয়ে রেল মন্ত্রকের টুইট এবং রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবের পাল্টা টুইট নিয়ে সরগরম পরিস্থিতি। কে আগে ট্রেন চেয়েছিল বা বাংলা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অনুরোধে সাড়া দিয়েই ট্রেন চালানোর অনুমোদন দিয়েছিল কিনা তা নিয়ে চলছে জোর বিতর্ক।































































































































