দেশ জুড়ে বেহাল দশা পরিযায়ী শ্রমিকদের। ট্রেনের ব্যবস্থা করা হলেও তা পর্যাপ্ত নয় বলেই অভিযোগ একাংশের। এই অবস্থায় পায়ে হেঁটে বিহারের ঝাঝা স্টেশন পর্যন্ত পৌঁছান পূর্ব বর্ধমানের দশ জন পরিযায়ী শ্রমিক। নিজেদের অবস্থার কথা জানিয়ে পোস্ট করেন ফেসবুকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছেই বাড়ি ফেরানোর আর্জি জানান।বুধবার মাঝ রাতে ওই শ্রমিকদের দু’টি গাড়িতে করে আসানসোলে আনার কথা জানায় আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেট।
মাসখানেক আগে পরিযায়ী ঠিকাকর্মীরা বিহারের মধুবনিতে কেন্দ্রীয় সরকারের একটি প্রকল্প নির্মাণের কাজ করছিলেন। আদতে তাঁরা পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার রাজাপুর, ভাতশালা ও কালনার বুলবুলিতলার বাসিন্দা। মার্চ মাসে লকডাউন শুরু হওয়ার পর ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট অঞ্চল থেকে উধাও হয়ে যান। পরিযায়ী শ্রমিকদের অভিযোগ, “তাঁদের বকেয়া টাকা ও মেটায়নি ওই ঠিকাদার। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও খোঁজ মেলেনি।
রাজেশ দেবনাথ নামে এক পরিযায়ী শ্রমিক জানান, “হাতের টাকা ফুরিয়ে আশায় পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিলাম।” তাঁর আক্ষেপ রাস্তায় সেই অর্থে প্রশাসনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। টানা পাঁচ দিন হাঁটার পর, ওই দলেরই দীপক দেবনাথ সোশ্যাল মিডিয়ায় সাহায্য চেয়ে পোস্ট করেন। পোস্ট’ করার কিছুক্ষণের মধ্যে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে তাঁদের ফোন করা হয়।
কমিশনারেটের ডিসিপি (পশ্চিম) অনমিত্র দাস বলেন, ‘‘রাজ্য সরকারের উদ্যোগেই দু’টি গাড়িতে করে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিহারের ঝাঝা থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। প্রত্যেকের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়েছে।’’ কুলটিতে পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমানায় ডুবুরডিহি সীমানা দিয়ে ওই শ্রমিকদের আনা হয়। বুধবার মাঝ রাতেই ওই শ্রমিকদের বাড়ি পৌঁছে দেওয়া হয়।