করোনা-মোকাবিলায় সুসংহত পরিকল্পনা কলকাতা পুরসভার, জানালেন অতীন ঘোষ

0
3

করোনা-মোকাবিলায় আরও সুসংহত পরিকল্পনা নিয়ে নামছে কলকাতা পুরসভা৷ এই পরিকল্পনা কার্যকর করা গেলে শহরে করোনা- প্রকোপ অনেকাংশে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বলেই মনে করছেন ডেপুটি মেয়র তথা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতীন ঘোষ৷

ডেপুটি মেয়র বৃহস্পতিবার পুর কর্মসূচি জানিয়ে বলেছেন,

◾ কলকাতার ৪০টি ওয়ার্ড এই মুহুর্তে বেশি সংক্রমিত৷

◾ কলকাতায় কন্টেনমেন্ট জোনের সংখ্যা আপাতত
৩১৮টি৷

◾রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী শহরে প্রায় ৭০০ জন করোনা আক্রান্ত।

◾ আক্রান্তদের ৮০ শতাংশই পুরসভার ১ থেকে ১০ নম্বর বরোর বাসিন্দা।

◾ প্রতিটি কন্টেনমেন্ট জোনের জন্য একটি করে টিম তৈরি হচ্ছে৷

◾প্রতি টিমে থাকবেন ৫ জন স্বাস্থ্যকর্মী।

◾এই টিম তাদের নির্দিষ্ট জোনের বাসিন্দাদের বাড়ি গিয়ে স্বাস্থ্যের খোঁজ নেবে।

◾পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগে প্রায় ৬৫০ জন অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মী রয়েছেন।

◾ডেঙ্গি ও ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণের কাজে আরও কিছু কর্মী আছেন।

◾ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া দমনের পাশাপাশি কন্টেনমেন্ট জোনে করোনা মোকাবিলার কাজও এরা করবেন।

◾এই টিমে থাকবেন ১৬টি বরোর ১৬ জন নোডাল অফিসার এবং ম্যানেজার ও ডেপুটি ম্যানেজার পদমর্যাদার অফিসাররা।

◾সংক্রমিত ১০টি বরোর প্রতিটিতে আঞ্চলিক অফিস করা হবে।

◾আঞ্চলিক অফিসে দায়িত্বে থাকবেন পুরসভার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পর্যায়ের ৫ অফিসার।

◾সোম থেকে শনি প্রতিদিন ২ ঘণ্টা করে তাঁরা আঞ্চলিক অফিসে বসবেন।

◾এই অফিসাররা প্রধানত নজরদারির কাজ করবেন এবং এলাকায় নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করা হচ্ছে কি না তা দেখবেন।

◾নিয়মিত জীবাণুনাশক স্প্রে করতে ১৬টি বরোয় একটি করে গাড়ি এবং পাঁচটি করে হ্যান্ড মেশিন দেওয়া হয়েছে।

◾মূলত মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে যে ভাবে কাজ হয়, সে ভাবেই করোনা সংক্রমণ রুখে দেওয়ার কাজ শুরু করছে পুরসভা৷

◾সংক্রমিত জোনের সংখ্যা বেড়ে বা কমে গেলে পরিস্থিতি অনুযায়ী কাজ হবে৷

◾কন্টেনমেন্ট জোনের জন্য গঠিত টিমের সদস্যেরা প্রতিটি বাড়িতে গিয়ে কারও জ্বর-সর্দি-কাশি হয়েছে কি না৷ আলাদা রিপোর্টও তৈরি করবেন।

◾প্রতিদিন এই রিপোর্ট পেশ করতে হবে ওই জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নোডাল অফিসারকে।

◾ওই নোডাল অফিসার
রিপোর্ট জমা দেবেন জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে।