আজ বৃহস্পতিবার বুদ্ধ পূর্ণিমার রাতে অযোধ্যা পাহাড়ে প্রথাগত শিকার উৎসবের দিন। পর্যটকহীন, শুনশান পাহাড়ে এবার বহিরাগত শিকারিদের ভিড় নেই। লকডাউনের জন্য চলছে না ট্রেন, বাস। খাঁ খাঁ করছে অযোধ্যা পাহাড়। তবু নিশ্চিন্ত হতে পারেনি বন দফতর। সেজন্য অযোধ্যা পাহাড় ও পাহাড়তলিতে গ্রামে গ্রামে ঢোল পিটিয়ে দিন পাঁচেক আগেই সচেতনতার প্রচারে নেমেছিল । যদিও স্থানীয় মানুষ এখন বন্যপ্রাণী রক্ষায় বন দফতরের পাশে রয়েছে। তাই এবার শিকার পুরোপুরি বন্ধ থাকবে বলে আশা বনকর্তাদের।
প্রতি বছর উৎসবমুখর পরিবেশে এ দিনটি উদযাপন করে থাকেন বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা। তবে এই বছর করোনার কারণে কোনও উৎসবই পালন করছেন না তাঁরা। ঘরোয়াভাবে প্রার্থনার মধ্য দিয়েই এ দিনটি উদযাপন করা হচ্ছে । এবার উড়বে না ফানুসও।
এমনকি কলকাতার টালিগঞ্জের বৌদ্ধ মঠের তরফে এই দিন ঘরে থেকে আরাধনার আহ্বান জানানো হয়েছে। মঠের তরফে আবেদন করা হয়েছে, লকডাউনের সময় বাইরে না বেরিয়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যেন ঘরে থেকেই আরাধনা করেন।
বৌদ্ধধর্ম মতে, আজ থেকে আড়াই হাজার বছর আগে এই দিনে মহামতি গৌতম বৌদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। বৈশাখি পূর্ণিমার দিন তাঁর জন্ম, বোধিলাভ ও প্রয়াণ বৈশাখি পূর্ণিমার দিনে হয়েছিল বলে একে ‘বুদ্ধ পূর্ণিমা’ বলা হয়ে থাকে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব এই বুদ্ধ পূর্ণিমা। এই দিন গৌতম বুদ্ধের জন্মোৎসব পালন করা হয়ে থাকে।
ভগবান বুদ্ধকে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তিনি এমন ঐশ্বরিক আত্মা ছিলেন যিনি ঈশ্বরের এক রুপ হিসেবে সম্মানিত হয়েছিলেন। বৈশাখী পূর্ণিমা দিনটি ভগবান বুদ্ধের সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে জড়িত।
এই পবিত্র তিথিতে ভগবান বুদ্ধ জন্মগ্রহণ করেছিলেন। শুধু তাই নয়, বহু বছর বনে বিচরণ ও কঠোর তপস্যার শেষে বৈশাখী পূর্ণিমার দিনই ভগবান বুদ্ধ বোধি বৃক্ষের নীচে সত্য জ্ঞান লাভ করেন অর্থাৎ তিনি বোধি বা সিদ্ধিলাভ করেছিলেন এবং মহাপরিনির্বাণ লাভ করেছিলেন। বুদ্ধকে ভগবান বিষ্ণুর অবতার হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাই শুধুমাত্র বৌদ্ধ অনুসরণকারীই নন, পাশাপাশি হিন্দু ভক্তরাও তাঁর শিক্ষাকে পুরো নিষ্ঠার সঙ্গে অনুসরণ করেন।





























































































































