করোনা-মৃত্যু: সৎকারের চারদিন পরে খবর পেল পরিবার!

0
1

মৃত্যুর চারদিন পর খবর পেল পরিবার। ততক্ষণে মৃত ব্যক্তির সৎকার করে দিয়েছে প্রশাসন। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল এম আর বাঙুর হাসপাতালের বিরুদ্ধে। উত্তর কলকাতার কেশব সেন স্ট্রিটের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ গত এক বছর ধরে পক্ষাঘাতে আক্রান্ত ছিলেন। তাঁর চিকিৎসা চলছিল এনআরএস হাসপাতালে। পরিবার সূত্রে খবর, সেখানেই তাঁর করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তারপর তাঁকে এম আর বাঙুর কোভিড হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তাঁর সঙ্গেই কেশব সেন স্ট্রিটের বাড়িতে থাকতেন তাঁর স্ত্রী, ছোট পুত্র ও পুত্রবধূ। বৃদ্ধের করোনা পজিটিভ হাওয়ায় এই তিনজনকে রাজারহাটের কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পাঠানো হয়।

বৃদ্ধের বড় ছেলে থাকেন বারাকপুরে। অভিযোগ, এমআর বাঙুরে ভর্তির করার পর থেকে হাসপাতালের তরফে পরিবারের সঙ্গে আর কোনো যোগাযোগ রাখা হয়নি। এমনকী হাসপাতালে ফোন করলেও তারা ফোন ধরেনি বলে অভিযোগ জানিয়েছেন মৃতের ২ পুত্র।
এর মাঝে ছোট পুত্রের কাছে স্বাস্থ্য দফতর থেকে ফোন করে জানতে চাওয়া হয়, তাঁর বাবা কেমন আছেন? সেটা ৫ তারিখের ঘটনা। অথচ দু তারিখেই ওই বৃদ্ধের মৃত্যু হয়। বারাকপুরে থাকা বৃদ্ধের বড় পুত্র কোনক্রমে হাসপাতালে যোগাযোগ করলে সেখান থেকে জানানো হয়, দু তারিখ ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তার সৎকারও হয়ে গিয়েছে। লকডাউন উঠলে যেন পরিবারের তরফ থেকে ডেথ সার্টিফিকেট নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল থেকে আরও দাবি করা হয় যে পরিবারকে ফোন করলেও ফোন ধরেননি কেউ।
করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হলে সে ক্ষেত্রে সৎকারে পরিজনেরা উপস্থিত থাকতে পারবেন না এমনটাই জানিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু তাই বলে কেউ মারা গেলে সেই মৃত্যুসংবাদ বাড়িতে দেওয়া হবে না? এই ঘটনায় হতবাক মৃতের আত্মীয়রা। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন, দু তারিখ যে রোগীর মৃত্যু হয়েছে, তিনি কেমন আছেন জানতে চেয়ে স্বাস্থ্যভবনের তরফ থেকে কীভাবে ৫ তারিখ তাঁদের কাছে ফোন আসে? তাহলে এই রোগীর মৃত্যুর খবর কি স্বাস্থ্য দফতরের কাছেও ছিল না? যদিও এ বিষয়ে এম আর বাঙুর হাসপাতাল বা স্বাস্থ্য দফতরের তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। প্রিয়জনকে শেষবার দেখা তো দূরের কথা তাঁর মৃত্যু সংবাদটুকুও না পেয়ে শোকবিহ্বল পরিবার।