আজমল কাসভকে চিনিয়ে দেওয়া বৃদ্ধ আজ ব্রাত্য পরিবারের কাছে। করোনা সংক্রমণের সঙ্কটের সময়ে চরম অবহেলায় ফুটপাতে দিন কাটছিল হরিশচন্দ্র শ্রীবর্ধনকরের। ২৬/১১-এর সেই অভিশপ্ত রাতে যখন মুম্বইয়ের কামা হাসপাতালের বাইরে এলোপাথাড়ি গুলি চালাচ্ছিল কাসভ, তখন একটি গুলি লাগে হরিশচন্দ্রের গায়ে। হাসপাতালে দীর্ঘ দিন চিকিৎসার পরে সুস্থ হন তিনি। চিনিয়ে দেন কাসভকে।
কিন্তু তারপর তাঁর খোঁজ কেউ রাখেনি। বছর দুয়েক আগে মাথায় গুরুতর চোট পাওয়ায় কথা বলতে অসুবিধা হয় শ্রীবর্ধনকরের। পরিবার তাঁর দায় নিতে খুব একটা রাজি নয়। মুম্বইয়ের সবচেয়ে বড় হটস্পটে তাঁকে ফুটপাথে শুয়ে থাকতে দেখেন ব্যবসায়ী ডিন ডিসুজা। তিনিই শ্রীবর্ধনকরকে উদ্ধার করে এক এনজিওর সাহায্যে নাপিতের কাছে নিয়ে গিয়ে চুল-দাড়ি কাটান। খাওয়ানো হয় তাঁকে। কিন্তু যাঁর মাধ্যমে দেশের সবচেয়ে বড় জঙ্গি ধরা পড়েছিল, তাঁর এই পরিণতি মেনে নিতে পারছেন না ডিসুজা ও তাঁর সঙ্গীরা। কোন এনজিও বা সহৃদয় ব্যক্তির খোঁজ চালানো হচ্ছে, যাঁরা শ্রীবর্ধনকরের দায়িত্ব নিতে পারে।