কিছুদিনের জন্য বন্ধ থাকলেও ফের শুরু হতে চলেছে ‘প্রচেষ্টা’ প্রকল্পের কাজ। বন্ধ থাকার কারণ,২৭ এপ্রিল প্রচেষ্টার ফর্ম নেওয়া এবং জমা দেওয়ার জন্য জেলাশাসক, মহকুমাশাসক এবং বিডিও-র দফতরে ভিড় করেন বহু মানুষ। আর এই ভিড় সামলাতে হিমশিম খাচ্ছিল পুলিশ। আরও একটি কারণ, করোনাভাইরাস রোধে চলছে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা। তা এখানে মানা হচ্ছিল না। ফলে সংক্রমণের সম্ভাবনা ছিল প্রবল।
তবে আবারও শুরু হয়েছে আবেদনপত্র জমা দেওয়ার কাজ। এবার আর সশরীরে নয়। আজ অর্থাৎ সোমবার থেকে ‘প্রচেষ্টা’ অ্যাপের মাধ্যমে ফর্ম জমা দিতে পারবেন আবেদনকারীরা। গুগল প্লে স্টোর থেকে ওই অ্যাপ ডাউনলোড করা যাবে।
এই প্রকল্পের সুবিধা রাজ্য সরকার তাঁদের জন্যই করেছে, যাঁরা সামাজিক সুরক্ষা যোজনার সুযোগ-সুবিধা বা সামাজিক পেনশন পান না। এই প্রকল্পের মাধ্যমে মাথাপিছু এককালীন এক হাজার টাকা পাবেন ওই সব শ্রমিক।
শনিবার জেলাশাসকদের কাছে পাঠানো শ্রম দফতরের নতুন নির্দেশিকায় প্রচেষ্টার সুবিধা পাওয়ার জন্য আবেদনের ক্ষেত্রে একাধিক শর্তের কথা বলা হয়েছে। সেগুলি হল,
⚫আবেদনকারীকে পরিবারের একমাত্র রোজগেরে হতে হবে। তিনি স্বনির্ভর হলেও রাজ্য বা বেসরকারি কোনও সংস্থার কর্মী হতে পারবেন না। একটি পরিবার থেকে এক জনই আবেদন করার সুযোগ পাবেন।
⚫রাজ্য সরকারের কোনও সামাজিক পেনশন প্রাপক বা কোনও সামাজিক সুরক্ষা যোজনার উপভোক্তা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন না।
⚫একশো দিন কাজের প্রকল্প, কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকও আবেদনের জন্য বিবেচিত হবেন না। কৃষি বা তার সহযোগী কাজে যুক্ত থাকলে প্রচেষ্টার সুবিধা মিলবে না।
১৫ মে পর্যন্ত এই আবেদন পেশের সুযোগ দেওয়া হবে আবেদনকারীদের।