একদিকে রাজ্যপালের পত্রবাণ। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলের নেতা অপূর্ব চন্দ্রের কড়া চিঠি। মুখ্যসচিব রাজীব সিনহাকে পাঠানো চিঠিতে স্পষ্ট ভাষায় তিনি বলেছেন, সাতটি চিঠি আপনাদের দিয়েছি। আপনারা একটি চিঠিরও উত্তর দেওয়ার প্রয়োজনবোধ করেননি।
চিঠির ছত্রে ছত্রে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলেছেন অপূর্ব চন্দ্র। তিনি বলেছেন ৩০এপ্রিল রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে এবার আক্রান্তদের মৃত্যু দৈনিক পরিসংখ্যানে উঠে আসবে। দেখা গেল সেদিন ৮১৬টি পজিটিভ পাওয়া গিয়েছিল। মারা গিয়েছিলেন ১০৫ জন। যার অর্থ পশ্চিমবঙ্গে করোনায় মৃত্যুর হার ১২.৮ শতাংশ। যা ভারতে সর্বোচ্চ। আর এই মৃত্যুর হার প্রমাণ করছে রাজ্যের টেস্টিং কম হচ্ছে, নজরদারিও দুর্বল। কতজন মারা গিয়েছে এই তথ্য রাজ্য নিজেদের মধ্যে গরমিল করছে। এ প্রসঙ্গে ৩০ তারিখে বুলেটিনের কথা তুলে ধরা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৭৪৪। আর সেদিনই স্বাস্থ্য দফতরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কেন্দ্রকে জানাচ্ছেন আক্রান্তের সংখ্যা বা পজিটিভ কেস ৯৩১। অর্থাৎ ১৮৭টি কেসের তফাৎ। প্রতিনিধিদলের প্রশ্ন তথ্যের অস্বচ্ছতা কেন থাকবে? কেন পরিসংখ্যানের তফাৎ হবে রাজ্যের এক দফতরের সঙ্গে আর এক দফতরের।
কেন্দ্রীয় টিমের পরামর্শ, হাসপাতালে ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নিয়োগ করা হোক। প্রয়োজনে অতিরিক্ত সময় কাজ করতে হবে, আর তার জন্য অতিরিক্ত অর্থ দিতে হবে। তথ্য যে যথাযথ দেওয়া হচ্ছে না এ নিয়ে বিরোধী দলগুলোর অভিযোগ রয়েছে, চিকিৎসক দলের একাংশেরও অভিযোগ রয়েছে। মুর্শিদাবাদের এক সরকারি হাসপাতালের বিজ্ঞপ্তিতে আতঙ্কিত হয়েছি আমরা। তাতে বলা হয়েছে মৃত্যুর কারণ হিসেবে কোভিডের নাম লেখা যাবে না। ফলে মানুষ আতঙ্কিত। প্রমাণ হচ্ছে সরকার তথ্য গোপন করছে। এটা চলতে থাকলে মানুষের আতঙ্ক বাড়বে প্রিয়জনদের নিয়ে বিপন্ন বোধ করবে।
কেন্দ্রীয় টিমের উত্তর মুখ্যমন্ত্রী আজ দেন কিনা সেটাই দেখার।






























































































































