ক্যানসারের সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই থামিয়ে বুধবার না ফেরার দেশে চলে গিয়েছেন ইরফান খান। কিন্তু ইরফানের স্মৃতিতে আষ্টেপৃষ্ঠে নিজেদের জড়িয়ে রেখেছে তাঁর পরিবার ও গুণমুগ্ধ ভক্তরা। ইরফানকে নিয়ে খোলা চিঠি লিখলেন তাঁর স্ত্রী সুতপা শিকদার।
“সারাবিশ্ব বলছে ইরফানের মৃত্যু তাদের ব্যক্তিগত ক্ষতি। কী করে বলি ইরফানকে নিয়ে যা বলব তার সবটাই ব্যক্তিগত? ইরফানের জন্য অনেক মানুষ কষ্ট পাচ্ছেন। ইরফানের এই চলে যাওয়া ক্ষতি নয়। বরং এর মধ্যেই অর্জন আছে। এই অর্জনের কথা বেশিরভাগ মানুষের অজানা। ইরফানের চলে যাওয়া বা যা কিছু অবিশ্বাস্য তা আসলে ইরফানের ভাষায় ‘ম্যাজিকাল’। ইরফান বলত থাকা আর না-থাকার মধ্যেও একটা ছন্দ আছে, যাদু আছে। আমায় দেখা যাচ্ছে না মানে আমি নেই, তা নয়।”
তবে স্বামী ইরফানের উপর একটা কারণেই অভিমান রয়েছেন সুতপার। “সারা জীবন কেন আমাকে এতটা আদরে রেখেছিল, কেন মেনে নিয়েছিল আমার সব আবদার? ইরফানের পারফেকশনিস্ট মনোভাব কিছুতেই সাধারণ কোন কিছুতে আমাকে সন্তুষ্টি দেয় না!” ইরফান শিখিয়েছিল ঝড়ের মধ্যে, বেদনার মধ্যে ছন্দকে ধরে রাখার মন্ত্র। জীবনে যত বড় ঝড় আসুক কোনও ছন্দপতন যেনো না হয়। প্রেসক্রিপশনটা একটা স্ক্রিপ্টের মতো হয়ে গেছিল।
আড়াই বছরের সঙ্গে ইরফানের আর তাঁর ৩৫ বছরের দাম্পত্যের কোনও মিল নেই তাও উল্লেখ করেছেন সুতপা। এই সময় যারা পাশে থেকেছেন তাদের লিস্ট অনেক লম্বা। তার মধ্যেও অঙ্কোলজিস্ট নীতেশ রোহতাগি, চিকিৎসক ডান ক্রেল (ইউকে) চিকিৎসক শিদ্রাভি (ইউকে) উল্লেখ করেছেন তিনি। লিখেছেন, “আমার অন্ধকার দিনের আলো কোকিলাবেন হাসপাতালের চিকিৎসক সেবান্তি লিমায়ে। কী অভূতপূর্ব, বেদনাময়, উত্তেজনাপূর্ণ এই জার্নি! তা বলে বোঝাতে পারব না।”




























































































































