রাজ্যপালের পরপর চিঠির কড়া জবাব দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা রাজ্যপালের জোড়ার চিঠির কয়েকদিন পরেই দোসরা মে মুখ্যমন্ত্রীর তরফে ১৩ পাতার চিঠি পাঠানো হয়। রাজ্যপালের জোড়া চিঠি থেকে কুড়িটি পয়েন্ট ধরে চিঠিতে উত্তর দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তিনি লেখেন, রাজ্যপালের চিঠির ভাষা অত্যন্ত নজিরবিহীন এবং অপমানজনক। তিনি বলেন, “আপনার দুটো চিঠি পড়েছি, ভারতের রাজনীতির ইতিহাসে এটা বিরল”।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই জবাবে আমার রাগের থেকে দুঃখ বেশি হয়েছে”।
স্বাধীনতার পরে এখনও পর্যন্ত কোনও মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করা হয়নি বলে চিঠিতে লেখেন মমতা।
সুপ্রিমকোর্টের বিভিন্ন রায়ের উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
রাজ্যপালের ক্ষমতা সীমাবদ্ধতার কথা উল্লেখ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি এই ভাষা প্রয়োগের নজির কোথাও নেই বলে চিঠিতে উল্লেখ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাজ্যপালের ক্ষমতা সীমাবদ্ধ। গণতন্ত্রে সমস্ত ক্ষমতার উৎস সাধারণ মানুষ বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আমি যদি উত্তর দিই তাহলে তাঁদের কাছে দেব, যাঁরা আমাকে নির্বাচিত করে এই জায়গায় এনেছেন”।
তিনি বলেন, “রাজ্যের কোনও কাজে যদি আপনার পছন্দ না হয়, অভিযোগ থাকে তাহলে সেটা সরাসরি আমাকে বলুন”
একইসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকারের সমস্ত কাজ সরকারিভাবে রাজ্যপালকে জানানো হয়। তাঁকে সব জানিয়েই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। তারপরেও তাঁর এই রকম আচরণ কখনোই অভিপ্রেত নয়।