এই নাকি মানবিক পুলিশ! অপদার্থতা আর অমানবিক আচরণের চরম উদাহরণ। কোনও ঘটনা মিডিয়ায় না আসা পর্যন্ত চেতনা হয় না।
হলদিয়ার মানস কুমার বয়াল দিল্লির এইমসে গিয়েছিলেন চিকিৎসা করাতে। কিন্তু ব্রেন টিউমারে তাঁর মৃত্যু হয়। সঙ্গে ছিলেন শুধু স্ত্রী। শোকার্ত স্ত্রী একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে দিল্লি থেকে পূর্ব মেদিনীপুরের পথে পাড়ি দেন। সব রাজ্য পেরিয়ে এসে সকালে রাজ্যে ঢোকার মুখে তাঁর অ্যাম্বুল্যান্স ঝাড়খন্ড সীমান্তে আটকে দেওয়া হয়। পুলিশের বক্তব্য, তারা ছাড়তে পারবে না। প্রৌঢ়া মহিলা তখন ডেথ সার্টিফিকেট দেখান। সেখানে পরিষ্কার ভাষায় লেখা ব্রেন টিউমারের কারণেই মৃত্যু। তবু অনুমতি মেলেনি। নাওয়া-খাওয়া ছাড়া সদ্য স্বামীহারা প্রৌঢ়া পুলিশের কাছে কান্নায় ভেঙে পড়েন। কিন্তু আসানসোলের অপদার্থ পুলিশ প্রশাসনের টনক নড়েনি। খবর যায় নবান্নে। তারপরই কাজ শুরু হয়। সকাল থেকে টানা সাত ঘন্টা এক্সপ্রেসওয়েতে ঠায় অ্যাম্বুল্যান্সে স্বামীর দেহ নিয়ে বসে থাকার পর বিকেল চারটে নাগাদ সেই দেহ হলদিয়ার পথে রওনা হয়।
কেন এতক্ষণ আটকে রাখা হলো? কোন আইনে আটকানো হয়েছিল প্রৌঢ়াকে? কোন তথ্য প্রৌঢ়া দেখাতে পারেননি? আসানসোল জুড়ে লকডাউন ভাঙার প্রতিযোগিতা চলছে। পুলিশ তখন দর্শক। আর অসহায় প্রৌঢ়ার মৃত স্বামীর দেহ নিয়ে বাড়ি ফেরাতে এত বাধা? স্বামীর দেহ নিয়ে রাস্তার ধারে এক শোকার্ত মহিলা নাওয়া-খাওয়া ছাড়াই সাত ঘন্টা ঠায় দাঁড়িয়ে। এই না হলে মানবিক পুলিশ!