কলকাতা পুরসভা এলাকায় বেহালার ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে করোনা মহামারী পরিস্থিতিতে ত্রাণ নিয়ে শাসক তৃণমূল ও বিরোধী সিপিএমের মধ্যে চরম বিতর্ক। কলকাতা পুরসভার বামপন্থী দলনেত্রী তথা ১২৮ নম্বর ওয়ার্ডের পুরমাতা রত্না রায় মজুমদারের অভিযোগ ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দীর্ঘদিন অনুপস্থিতিতে অঞ্চলের গরিব মানুষরা সঠিকভাবে ত্রাণ পাচ্ছেন না।
পাশাপাশি, রেশন দোকান থেকেও তাঁরা বরাদ্দ রেশন পাচ্ছেন না। ওয়ার্ডে নির্বাচিত প্রতিনিধি না হলেও ওই অঞ্চলে তৃণমূল নেত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় সরকারি যে ত্রাণ বিলি করছেন তা পর্যাপ্ত নয়, অঞ্চলের দরিদ্র শ্রেণীর মানুষেরা চরম অসহায়তার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন বলে অভিযোগ সিপিএম নেত্রীর।
রত্না রায় মজুমদার আরও অভিযোগ করেন, যে সমস্ত ওয়ার্ডে বামপন্থী পুর প্রতিনিধিরা আছেন তাদের বরাদ্দ সরকারি ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে না। তাঁর দাবি, সিপিএম নিজস্ব উদ্যোগে এবং নিজেদের আর্থিক আনুকূল্যে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করছে।
অপরদিকে, ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডের ভারপ্রাপ্ত তৃণমূল নেত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায় এই সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিয়ে বলেন, এ সমস্ত অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং উদ্দেশ্য প্রণোদিত। তাঁরাই ১৩১ নম্বর ওয়ার্ড ও পাশের কিছু ওয়ার্ডে ত্রাণ সামগ্রী বন্টন করছেন। তাঁরা ওই সমস্ত ওয়ার্ডের প্রতিটি পরিবারে যাতে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যায় তার ব্যবস্থা নিয়েছেন। ইতিমধ্যেই প্রায় ১০ হাজার মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দিয়েছেন।
এছাড়াও রান্না করতে পারছেন না, এমন বেশ কয়েকশো পরিবারকে রান্না করা খাবারও পৌঁছে দিয়েছেন রত্না চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও স্থানীয় বিধায়ক তথা শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়-এর নেতৃত্বে তাঁরা সর্বদা নজর রেখেছেন, যাতে এইসব এলাকায় কেউ অভুক্ত না থাকেন।
এছাড়াও বেহালা পশ্চিম-এর বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্যায় নিজের উদ্যোগে ১৩১ নম্বর ওয়ার্ডে ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেছেন। করোনার মতো ভয়ঙ্কর মহামারীতে ত্রাণ নিয়ে অযথা রাজনীতি করছেন সিপিএমের কিছু নেতা-নেত্রীরা। অঞ্চলের মানুষকে জিজ্ঞাসা করলেই জানা যাবে বাস্তব পরিস্থিতি, দাবি তৃণমূল নেত্রী রত্নার।




























































































































