সরকারি কর্মীদের ২৫ শতাংশ বেতন মুলতুবি রাখার সিদ্ধান্তের উপর মঙ্গলবার স্থগিতাদেশ দিয়েছিল কেরালা হাইকোর্ট। পিনারাই বিজয়ন সরকারের সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও আইনি বৈধতা নেই জানিয়ে স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। এরপর বুধবার কেরালা সরকার জানিয়ে দিল, আইন বাঁচিয়ে অর্ডিন্যান্স এনে আগের সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনা বিপর্যয় মোকাবিলায় অর্থসঙ্কটে ভুগছে রাজ্যের কোষাগার। তাই কর্মীদের মাসিক বেতনের একটা অংশ স্থগিত রাখছে কেরালা সরকার। পরে এই টাকা ৬ মাসে ধাপে ধাপে মিটিয়ে দেওয়া হবে। এই কাজে আইনি বাধা দূর করতে অর্ডিন্যান্স আনবে রাজ্যের বামশাসিত সরকার। জানা গিয়েছে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়া জরুরি পরিস্থিতি (COVID-19) মোকাবিলায় এই সিদ্ধান্ত। রাজ্যের অর্থমন্ত্রী টমাস আইজ্যাক জাতীয় সংবাদমাধ্যমে বলেছেন, “আমাদের হাতে পর্যাপ্ত রাজস্ব নেই। তাই আমাদের হাতে বিকল্পও নেই। পেনশন-সহ রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন মেটানোর জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ যথেষ্ট নয়। অন্য রাজ্যগুলির মত আমরা বেতন সঙ্কোচন করছি না। শুধু কয়েকদিনের বেতন মুলতুবি রাখছি।” সরকারি সূত্রে খবর, এই সিদ্ধান্তে কোষাগারে ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব ঢুকবে। সেই টাকা মুখ্যমন্ত্রীর করোনা বিপর্যয় মোকাবিলা তহবিলে বরাদ্দ করা হবে।
মঙ্গলবার কেরালা হাইকোর্ট এই সিদ্ধান্তের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিল। আদালত জানায়, এই সিদ্ধান্তের পিছনে কোনও আইনি বৈধতা নেই। এরপরই আইনি পথ বের করে ফের ২৫ শতাংশ বেতন মুলতুবি রাখার পথে হাঁটছে কেরালা সরকার। এক্ষেত্রে তাদের হাতিয়ার অর্ডিন্যান্স। এর মাধ্যমে বেতন সঙ্কোচন না করে ২৫ শতাংশ বেতন স্থগিত রেখে তা আগামী ৬ মাসে ধাপে ধাপে মেটাতে চায় কেরালা সরকার।