কাঁধে আগ্নেয়াস্ত্র, পরনে ইউনিফর্ম। তীক্ষ্ম দৃষ্টি সীমান্তে।
এটাই তাঁদের রুটিন। কেউ বাংলাদেশ লাগোয়া ত্রিপুরায়, কেউ জম্মুর শাম্বা সীমান্তে। রুটিনে ছেদ পড়ল না বাড়ি ফিরেও। সীমান্তরক্ষী বাহিনীতে কর্মরত একদল তরুণ বাড়িতে আটকে গিয়েও নেমে পড়লেন নিজেদের গ্রাম রক্ষায়।
করোনা পরিস্থিতিতে ৫০০ পরিবারের কাছে পৌঁছে দিলেন খাদ্যসামগ্রী। ত্রিপুরার বাংলাদেশ লাগোয়া সীমান্তে বিএসএফের ৬৬ নম্বর ব্যাটালিয়নে রয়েছেন উৎপল বিশ্বাস। লকডাউন শুরুর আগেই ছুটিতে বনগাঁর কলমবাগানের
বাড়িতে ফেরেন তিনি। স্থানীয় কলমবাগান অক্ষয় সংঘের ত্রাণের কাজে সামিল হন তিনি। আশপাশে গ্রামে আরও জওয়ান ছুটিতে বাড়িতে এসে আটকে পড়েছেন। তাঁদেরও এই কাজে যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান জানান। উৎপলের ডাকে সাড়া দিয়ে নেমে পড়েছেন অসীম সরকার। জম্মু থেকে ছুটিতে বাড়িতে ফিরেছেন তিনি।
ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে দিতে বিএসএফের এইরকম ১৮ জন জওয়ান মঞ্চ বেঁধে ছিলেন অক্ষয় সঙ্ঘের মাঠে। একই সঙ্গে করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সচেতনতা তৈরি করেন বিভিন্ন ভাবে মানুষকে পরামর্শ দিয়েছেন। উৎপল বলেন, “ছুটিতে বাড়ি ফিরলেও এই সংকটের সময় বাড়িতে বসে থাকা যায় না।” অক্ষয় ক্লাবের সম্পাদক গৌতম ভট্টাচার্য বলেন, ” ত্রাণ দিতে জওয়ানদের এগিয়ে আসা প্রশংসনীয়। “































































































































