করোনা মোকাবিলায় যে পুলিশ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ফ্রন্ট লাইন থেকে লড়াই করছে, এবার তারাই লাঞ্ছনার শিকার।
রেড জোন হাওড়ার টিকিয়াপাড়ায় লকডাউন বিধি এবং আইন-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে গিয়ে একদল উৎশৃংখল-অবাধ্য-সমাজবিরোধীর হাতে বেধড়ক মার খেল রাজ্যের পুলিশ। যা সমস্ত সমাজের মাথা হেঁট করে দিয়েছে।
টিকিয়াপাড়ার সেই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই সমাজের বিভিন্ন মহলে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
কীভাবে একদল সমাজ বিরোধী এই কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে আইন নিজের হাতে নেওয়ার সাহস দেখাতে পারেন, যেখানে রীতিমত প্রাণের ভয় ছুটে পালাতে হচ্ছে ঘর-সংসার-পরিবার ছেড়ে দিনরাত এক করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া উর্দিধারীদের?প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিরোধীদের অভিযোগই ঠিক? রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা কি ভেঙে পড়েছে?
ইতিমধ্যেই সরগরম রাজনীতি। রাজ্য বিজেপি তো এই ঘটনাকে ধর্মীয় মেরুকরণের তকমা লাগিয়ে দিয়েছে। গেরুয়া শিবিরের দাবি, এ রাজ্যে বিশেষ বিশেষ অঞ্চলে লকডাউনকে বুড়ো আঙুল দেখানো হচ্ছে। পুলিশকে আক্রমণ করা হচ্ছে। এই যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে এমন অনভিপ্রেত ঘটনা মনোবল ভাঙছে পুলিশের।
এদিকে, এই ঘটনায় জড়িতদের কাউকে রেয়াত করা হবে না বলে মঙ্গলবার রাতেই কড়া ভাষায় টুইট করে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ। টুইটারে রাজ্য পুলিশ জানায়, টিকিয়াপাড়ার ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানায় রাজ্য পুলিশ। আইন ভঙ্গ কোনও ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে রাজ্য পুলিশ।

এরপর রাতেই নিজের টুইটার হ্যান্ডেল থেকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এই বার্তাটি রিটুইট করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই ঘটনায় দারুন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর রিটুইট পুলিশ প্রশাসনের মনোবল ফিরিয়ে দেয়। হাওড়া সিটি পুলিশের বিশাল বাহিনী, সশস্ত্র পুলিশ, কমব্যাট ফোর্স, RAF ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। গোটা টিকিয়াপাড়ার দখল এখন পুলিশের হাতে। এলাকা থম থম করছে। রয়েছে চাপা উত্তেজনা। দোষীদের খোঁজে শুরু হয়েছে চিরুনি তল্লাশি।






























































































































