এমনও হয় ! রাক্ষুসে করোনা’র দাপাদাপি জানতেই পারেননি এই দম্পতি

0
1

দুনিয়া ওলট-পালট হয়ে গিয়েছে, অথচ এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতেই পারেনি এই দম্পতি!

কেন ? কোথায় ছিলেন তাঁরা ? গ্রহান্তরের মানুষ নন তো?

গোটা বিশ্ব করোনা আতঙ্কে কাঁপছে। করোনাভাইরাস সম্পর্কে জানেনা এমন মানুষ দুনিয়ায় নেই বললেই চলে। কিন্তু এমন এক দম্পতির খোঁজ পাওয়া গেল যারা এই মহামারি সম্পর্কে কিছুই জানতে পারেননি।

কী সেই কারণ, যার জেরে ভয়ঙ্কর এই মহামারির কথা জানতেই পারলেন না ওই দম্পতি ?

ইংল্যান্ডের ম্যানচেস্টারের বাসিন্দা ওই দম্পতির নাম এলিনা ম্যানিঘেটি এবং রায়ান ওসবোর্ন। জানা গিয়েছে, ২০১৭ সালে নিজেদের চাকরি ছেড়ে বিশ্ব ভ্রমণের উদ্দেশ্যে একটি নৌকা কেনেন ওই দম্পতি। আর তারপর থেকে তাঁরা কোথাও না কোথাও ভ্রমণের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। আর এবার এক মাসেরও বেশি সময় ধরে তাঁরা মাঝ সমুদ্র ছিলেন। সমুদ্র থেকে স্থলভূমিতে পা দেওয়ার পরেই এমন ভয়ঙ্কর মহামারির কথা জানতে পারে। তাঁরা ওই সময় ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের দিকে যাত্রা করেছিলেন। এরপর মার্চ মাসের মাঝামাঝি সময় সেখানে নোঙর করতে গিয়েই জানতে পারেন, গোটা বিশ্ব করোনার কবলে।
এই করোনার কারণে ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের দেশগুলিও তাদের সমস্ত সীমানা বন্ধ করে দিয়েছে। এলিনা এবং রায়ান জানান, ‘ফেব্রুয়ারি মাসে আমরা চিনে একটি ভাইরাসের কথা শুনেছিলাম। ভেবেছিলাম ২৫ দিন বাদে যখন ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছাব ততদিনে এই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছে দেখলাম ভাইরাস নির্মূল হওয়া তো দূরে থাক, গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে এই সংক্রমণ।’

ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে প্রবেশ করতে পারেননি ওই দম্পতি। তাঁরা গ্রেনাডার দিকে নিজেদের জলযানটি ঘুরিয়ে নিয়ে যান। সেখানে পৌঁছে ভালো ইন্টারনেটের সংযোগ পেয়ে জানতে পারেন গোটা বিশ্বের এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি।

এলিনা এবং রায়ান কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন তাঁরা সমস্তটা জিপিএস-এ সেভ করে রেখেছিলেন।
এক মাসেরও বেশি সময় ওই দম্পতি সমুদ্রে ছিলেন, তা জানার পরেই সেন্ট ভিনসেন্টে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় তাঁদের। আপাতত তাঁরা সেখানেই রয়েছেন।