মুখ্যমন্ত্রীকে লেখা ১৪ পাতার চিঠিতে কী বলেছেন রাজ্যপাল!

0
1

ছত্রে ছত্রে তোপ দেগে ১৪ পাতার দ্বিতীয় চিঠি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়৷ বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালকে ৫ পাতার চিঠি দিয়ে এই পত্রযুদ্ধের সূচনা করেছিলেন৷ সেই ৫ পাতার উত্তরে দু’দফায় মোট ১৯ পাতায় উত্তর দিয়েছেন রাজ্যপাল ৷

বৃহস্পতিবার রাতে মুখ্যমন্ত্রীর চিঠির উত্তরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে “সাংবিধানিকভাবে ব্যর্থ একজন মুখ্যমন্ত্রী” বলেছিলেন রাজ্যপাল৷

আর শুক্রবার বেলার দিকে দ্বিতীয় চিঠিতে সরাসরি “করোনা মোকাবিলায় মুখ্যমন্ত্রী ব্যর্থ” বলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অভিযুক্ত করলেন রাজ্যপাল।

রাজ্যপালের দ্বিতীয় চিঠিতে মোট ৩৭ অনুচ্ছেদ রয়েছে৷ প্রতিটি অনুচ্ছেদেই কড়া সমালোচনা করা হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ৷ রাজ্যপাল বলেছেন,

◾করোনা মোকাবিলায় আপনি সম্পূর্ণ ব্যর্থ।

◾ব্যর্থতা ঢাকতে কৌশলে আপনি দৃষ্টি ঘোরাচ্ছেন।

◾আপনার চিঠিতে অপ্রাসঙ্গিক অজুহাতের কথাই বেশি৷

◾ আপনি নিজের ব্যর্থতা ঢাকতে চিঠিতে এত অজুহাত দিয়েছেন।

◾মাইক,ঝাঁটা হাতে কোনও মুখ্যমন্ত্রীকে মানায় না৷

◾আপনি আপনার অন্তরাত্মার কথা শুনুন।

◾আপনি আইনের ঊর্ধ্বে নন।

◾সুপ্রিম কোর্টও সেই কথাই বলেছে।

◾আপনি খোলাখুলিভাবে সংখ্যালঘু তোষণ করছেন।

◾আপনাকে নিজামউদ্দিনের ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল।

◾আপনি বলেছিলেন এই প্রশ্ন সাম্প্রদায়িক প্রশ্ন।

◾এই বক্তব্য আমার কাছে একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।

◾CAA নিয়ে আপনি গণভোটের প্রস্তাব দিয়েছেন।

◾প্রস্তাব দিয়েছিলেন রাষ্ট্রসংঘকে।

◾আপনি সংবিধান অবমাননা করেছেন।

◾এই বাংলা বিধানচন্দ্র রায়ের মতো মুখ্যমন্ত্রী দেখেছে।

◾আপনি ওনার মত মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন।

◾এমন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন যে রাজ্যে রেশন কেলেঙ্কারি হয়না।

◾এমন মুখ্যমন্ত্রী হতে পারতেন যে রাজ্যে জনতার টাকা লুঠ হয় না।

◾আপনি করোনা- তথ্য লুকাচ্ছেন।

◾আইসোলেশন ওয়ার্ডের অন্দরে মোবাইল ফোনের ব্যবহার নিষিদ্ধ করে সব কিছু ঢাকতে চাইছেন৷

◾আপনার এই ‘কভার আপ’ প্রক্রিয়া খুবই বেদনাদায়ক৷

◾অক্ষম মানুষের স্বার্থে আপনি লড়াইয়ের মুখোমুখি দাঁড়ান৷

◾কেন্দ্রীয় দল এ রাজ্যে কাজ করতে পারছে না।

◾আপনি চিঠিতে আম্বেদকরের কথা বলছেন।

◾ অথচ আপনিই সংবিধানকে অবজ্ঞা করছেন।

◾আপনার এই বক্তব্যের
থেকে বড় পরিহাস আর কিছু হয়না।

◾এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে রাজ্যপাল বা জগদীপ ধনকড়ের লড়াইয়ের সময় নয়৷

◾ মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী, আমরা দু’জনই সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ৷ আপনি সংবিধান মেনে কাজ করবেন৷ আর আমি সংবাধানের শর্ত যাতে পূরণ হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবো৷

◾আপনি জেনে রাখুন, রাজভবনে আপনার একটি বন্ধু আছে৷

◾যে বন্ধু সাধারন মানুষের কল্যাণে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে জানে৷