
এবার ‘প্রত্যাঘাত’!
বাংলায় করোনা মোকাবিলায় প্রশাসনিক পদক্ষেপের সমালোচনায়
কেন্দ্র ও বিজেপি যেভাবে বিভ্রান্তিমূলক প্রচার চালাচ্ছে, এবার তার পাল্টা দিতে চলেছে তৃণমূল৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রের এই একতরফা অপপ্রচারের বিরুদ্ধে প্রচার কৌশল সাজানোর জন্য প্রচার-বিশেষজ্ঞ প্রশান্ত কিশোরকে দ্রুত রাজ্যে আসতে বলা হয়েছে৷ জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কিশোর কার্গো ফ্লাইটে ধরে কলকাতায় পৌঁছেও গিয়েছেন৷
পশ্চিমবঙ্গ সরকারের করোনা-যুদ্ধ নিয়ে একতরফাভাবে বিজেপির আইটি সেল অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে৷ কেন্দ্রীয় সরকারের কিছু পদক্ষেপও এই অপপ্রচারে মদত দিচ্ছে৷ সোশ্যাল মিডিয়ায় এ ধরনের একতরফা প্রচারের জেরে রাজ্য সরকারের গঠনমূলক লড়াই নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হচ্ছে৷ এবার সে সবের মোকাবিলা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্যের শাসক দল৷ সে কারনেই ডেকে আনা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে৷ করোনা এবং করোনা – মোকাবিলা নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্য সরকারের কার্যত ঠাণ্ডা লড়াই এতদিন ধরে চলছে৷ এবার প্রকাশ্যে সঠিক চিত্র তুলে ধরে রাজ্যবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাইছে তৃণমূল৷
করোনা- সংকট মোকাবিলায় নিজেই পথে নেমেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ ওদিকে রাজ্যের সঠিক পদক্ষেপগুলির সমালোচনার কাজও সমানে চালিয়ে যাচ্ছে বিজেপি৷ এই অপপ্রচারকে কাউন্টার করে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে বলা হয়েছে প্রশান্ত কিশোরকে৷ শহরে আসার পরই তাঁকে গোটা পরিস্থিতি ‘ব্রিফ’ করা হয়৷
জানা গিয়েছে, প্রশান্ত কিশোর ইতিমধ্যেই প্রথম দফায় সোশ্যাল মিডিয়া এবং মিডিয়া চ্যানেলগুলিতে পাল্টা ‘আক্রমণাত্মক’ অভিযানের খসড়া তৈরি করে ফেলেছেন৷ করোনা-পরীক্ষা পর্যাপ্ত না হওয়া, পিডিএসে অব্যবস্থা, বিশেষ কিছু অঞ্চলে লকডাউন বিধি লঙ্ঘিত ইত্যাদি বিষয়ে ভুল তথ্য সামাজিক মাধ্যমে এনেছে বিজেপি৷ বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রীও বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করেছেন, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং ফ্রন্টলাইন যোদ্ধাদের নিয়ে নানা গল্প, ইত্যাদি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন বিজেপির একাধিক নেতা-মন্ত্রী৷
চরম এই সংকটকালেও কেন্দ্রের শাসকদল সংকীর্ণ দলীয় রাজনীতি চালিয়ে যাচ্ছে বলেই মনে করছে তৃণমূল৷ এই ধরনের অপপ্রচার দেখেও মুখ্যমন্ত্রী নীরবে করোনা-যুদ্ধ চালিয়ে গিয়েছেন৷ কিন্তু এখন তৃণমূল মনে করছে, এ ধরনের অপপ্রচার সীমা ছাড়াচ্ছে৷ তাই এ সবের কাউন্টার করা এবং এই অতিমারির সময়ে কেন্দ্র ঠিক কোন ধরনের সাহায্য এ পর্যন্ত করেছে, মানুষের সামনে তা তুলে ধরা প্রয়োজন৷ এই কারনেই দল প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে৷
প্রশান্ত কিশোরও কাজ শুরু করে দিয়েছেন৷ আর ২-১ দিনের মধ্যেই মিডিয়া ও সোশ্যাল মিডিয়ায় আসতে চলেছে করোনা-যুদ্ধে রাজ্য প্রশাসন ও শাসক দলের ভূমিকার ইতিবৃত্ত৷