করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতে অন্তত ২০২২ সাল পর্যন্ত সামাজিক দূরত্ব ও যাবতীয় সুরক্ষাবিধি মেনে চলতে হবে। এমনই বলছেন বিশেষজ্ঞরা। শুধু তাই নয়, কোভিড-১৯ আমাদের সঙ্গে আরও অনেকদিন থাকবে। কারণ এই নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ খুব শিগগিরই থামবে না, বরং এখনও অনেকদিন ভোগাবে। সাংবাদিক সম্মেলনে বিশ্ববাসীকে ফের এভাবে সতর্ক করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-র ডিরেক্টর ড. ট্রেড্রস অ্যাডানম ঘেব্রেইসাস। তাঁর কথায়, পৃথিবীর অধিকাংশ দেশই এখনও সংক্রমণ মোকাবিলার প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তাই কোনও ভুল করবেন না। এই ভাইরাস এখনও আরও অনেকদিন আমাদের সঙ্গে থাকবে। হু প্রধান আরও বলেন, কিছু দেশ ভাবতে শুরু করেছিল যে তারা সংক্রমণের বিপদ কাটিয়ে উঠতে পেরেছে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে সেখানে নতুন করে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। আফ্রিকা ও আমেরিকায় সংক্রমণ যে হারে ছড়াচ্ছে তা খুবই উদ্বেগজনক।
শুধু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাই নয়, দুনিয়ার প্রথিতযশা বিজ্ঞানী ও বিশেষজ্ঞদের মত হল, এখন সংক্রমণকে কেবল কোনওরকমে ঠেকিয়ে রাখা হচ্ছে। ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলায় কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা পদ্ধতি যে সুনিশ্চিতভাবে কাজ করছে, তার প্রমাণ পাওয়া যায়নি। ভ্যাকসিনের ট্রায়াল কয়েকটি সংস্থা শুরু করেছে ঠিকই, কিন্তু চূড়ান্ত ভ্যাকসিন পেতে এখনও ঢের দেরি। প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার থেকে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় তাদের ভ্যাকসিনের হিউম্যান ট্রায়াল শুরু করতে চলেছে। মানুষের শরীরে তা কতটা কাজ করছে তার পরীক্ষা হবে। কিন্তু সেই ভ্যাকসিন আদৌ কার্যকর হবে কিনা তা একেবারেই বলা যাচ্ছে না। আবার যদি ভ্যাকসিন কার্যকর হয়ও, তা হলেও গোটা পৃথিবীর মানুষকে টিকা দিতে কয়েকশ কোটি ভ্যাকসিন লাগবে। তা উৎপাদন কতদিনে হবে তাও অনিশ্চিত। এদিকে
সাংবাদিক বৈঠকে ঘেব্রেইসাস বলেন, হু ঠিক সময়েই করোনার বিপদ জানিয়ে জরুরি অবস্থার কথা ঘোষণা করেছিল। তার ফলে প্রতিটি দেশই প্রস্তুতি ও পরিকল্পনার সময় পেয়েছে।





























































































































