অনুমতি মিলেছে হোম ডেলিভারির, তাও ব্যাগ হাতে দোকানে সুরা রসিকরা

0
1

অনুমোদিত দোকান থেকে মদের ‘হোম ডেলিভারি’ শুরু হতেই ব্যাগ হাতে দোকানের সামনে লাইন দিতে শুরু করেছেন সুরা রসিকরা। ফলে লকডাউন ভাঙার পাশাপাশি করোনা সংক্রমণের আশঙ্কা উড়িয়ে দিতে পারছে না প্রসাশন। একইসঙ্গে আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে কপালে ভাঁজ পুলিশের।

এর পাশাপাশি, বিভিন্ন অর্ডার-সহ কীভাবে হোম ডেলিভারি কার্যকর করা সম্ভব হবে তা নিয়ে চিন্তিত ব্যবসায়ীরা।
লকডাউনে মদ কেনাবেচা পুরোপুরি বন্ধ ছিল। কিন্তু, পুলিশ ও আবগারি দফতরের চোখে ধুলো দিয়ে ঘুরপথে দ্বিগুণ, তিনগুণ দামে দিশি বা বিলিতি মদের কেনাবেচা চলছিল। চলছিল কালোবাজারিও।
এদিকে সুযোগ বুঝে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে চোলাই মদ তৈরির কারবার শুরু হয়। বিষক্রিয়ায় মৃত্যুর আশঙ্কা দেখা দেয়। দু’দিক বিবেচনা করেই অনুমোদিত দোকান থেকে হোম-ডেলিভারির অনুমোদন মেলে।
এদিকে, জেলায় অনুমোদিত ৩০০ মদের দোকান বন্ধ থাকায় এক দিকে রাজস্ব আদায় বন্ধ ছিল।
এই কারণে অনুমোদন মিললেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দোকান খোলা রাখা যাবে না। করোনা সংক্রমণ রুখতে দোকানের সামনে ভিড় জমতে দেওয়া যাবে না। মদ বিক্রি করার আগে লাইসেন্সপ্রাপ্ত নির্দিষ্ট দোকানদারকে স্থানীয় থানা থেকে অনুমতি নিতে হবে।
কিন্তু জেলার অধিকাংশ দোকানের সঙ্গে বাড়ি বা গোডাউন যুক্ত। তাঁদের পক্ষে কারবার চালানো মুশকিল। একবার খবর পেলেই দলে দলে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। পুলিশে খবর দিতে হচ্ছে।
তবে আফগারি দফতর সূত্রে খবর, সমস্যা কাটিয়ে দিন কয়েক হল বেশ কিছু লাইসেন্সপ্রাপ্ত দোকান মালিক ব্যবসা চালাচ্ছেন।