রাজ্যের অভিযোগ ছিল নাইসেডের কিট ত্রুটিপূর্ণ। বহু টেস্ট অমীমাংসিত আসছে। দ্বিতীয়বার টেস্ট করতে হচ্ছে, তাই সময় লাগছে। নাইসেডের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগ সোমবার উড়িয়ে দিল আইসিএমআর। দিল কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। উল্লেখ্য, আইসিএমআর-ই কিট সরবরাহ করে নাইসেডকে।
আইসিএমআর-এর এপিডেমোলোজি এবং সংক্রামক ব্যাধি বিভাগের প্রধান ডাঃ রামন গঙ্গাখেদকর বলেন, পশ্চিমবঙ্গের কিছু রিভার্স ট্রানস্ক্রিপশন পলিমারাইজ চেইন রিঅ্যাকশন কিট নিয়ে অভিযোগ এসেছে জানিয়ে দিই এই অভিযোগ যথাযথ নয়। কী কারণে এই পরিস্থিতির মুখে পড়তে হচ্ছে তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে তিনি বলেন,
১. কিটগুলি সংরক্ষণের পদ্ধতি আছে সব সময় ২০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড তাপমাত্রার নিচে এগুলিকে রাখতে হয়। তার বেশি তাপমাত্রা হলেই টেস্ট রিপোর্ট যথাযথ আসে না।
২. পশ্চিমবঙ্গ সরকার কিটগুলি খারাপ বলে অভিযোগ করেছে। দেখার বিষয় টেকনিশিয়ান পরীক্ষার আগে কিটগুলিকে ২০ ডিগ্রির বেশি তাপমাত্রার উপরে ফেলে রেখেছিলেন কিনা।
৩. রাজ্য উদাহরণ দিতে গিয়ে পুনের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব ভাইরোলজি কিটের কথা উল্লেখ করেছিল। বলেছিল, যতদিন পুনে থেকে কিট এসেছে ততদিন কোনঅ সমস্যা হয়নি। ডাঃ গঙ্গাখেদকার পাল্টা বলেন, আপনাদের তথ্যের জন্য জানিয়ে রাখি পুনেকে যে কিট দেওয়া হয়েছে সেই একই কিট নাইসেড তথা পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও দেওয়া হয়েছে।
৪. কলকাতার নাইসেড থেকে অবিলম্বে রাজ্য সরকারকে ১০ হাজার কিট দেওয়ার নির্দেশ দিচ্ছে আইসিএমআর।
আইসিএমআর যে তথ্য হাজির করল সোমবার, পাল্টা রাজ্য সরকার জবাবে কী বলে সেটাই দেখার।