স্বাস্থ্যদফতর ও পুরসভার উদ্যোগে বেলগাছিয়া বস্তিতে বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহ শুরু

0
1

অনেক দেরিতে হলেও শেষপর্যন্ত কলকাতায় বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করলো রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর এবং পুরসভার বিশেষ দল৷ বৃহস্পতিবার কলকাতার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বেলগাছিয়া বস্তি এলাকায় শুরু হয় তথ্য সংগ্রহের কাজ। এই বস্তির জনসংখ্যা প্রায় ৪৫ হাজার। একই সঙ্গে তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু হতে চলেছে নারকেলডাঙা নর্থ রোড, বন্দর এলাকার ঘন বসতিপূর্ণ অঞ্চল এবং বালিগঞ্জের কয়েকটি অতি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায়৷ দ্রুত এই তথ্য সংগ্রহের কাজ শেষ করা হবে বলে পুরসভা জানিয়েছে৷

কলকাতা পুরসভা এবং রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের যৌথ দল বৃহস্পতিবার দুপুরে বেলগাছিয়ার এক বস্তিতে যায়৷ বিশেষ ভাবে প্রশিক্ষিত ৩০ জনের এই দল বেলগাছিয়া বস্তির ঘরে ঘরে গিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে৷ সূত্রের খবর, কলকাতা পুরসভা এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডেই এই তথ্য সংগ্রহ করা হবে৷ ‘স্পর্শকাতর’ এলাকায় হবে র‌্যাপিড টেস্ট। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, পরের পর সংক্রমণের ঘটনা ঘটায় বেলগাছিয়ার ওই বস্তিকে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর ‘স্পর্শকাতর’ তালিকার প্রথমেই রেখেছে। স্বাস্থ্যকর্মীরা এদিন PPE বা পার্সোনাল প্রোটেকটিভ ইকুইপমেন্ট বা ভাইরাস প্রতিরোধী বিশেষ পোশাক পরে ওই এলাকায় যান। প্রতিটি বাড়িতে তাঁরা বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে তথ্য সংগ্রহ করেন, কারও অসুস্থতা আছে কি না। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বাড়িতে বয়স্ক বাসিন্দা কত জন আছেন, তাঁদের পুরনো কোনও জটিল রোগ আছে কি না, গত কয়েক দিনের মধ্যে তাঁদের সর্দি, জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দিয়েছে কি না তা-ও নথিভুক্ত করছেন পুরকর্মীরা।
কলকাতা পুরসভার সিদ্ধান্ত, তথ্য সংগ্রহের ক্ষেত্রে বস্তি বা অতি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বেশি নজর দেওয়া হচ্ছে। কারণ, সেখানে দ্রুত সংক্রমণ ছড়াতে পারে৷
বেলগাছিয়া বস্তিতে ঢোকা বেরনোর রাস্তা বুধবার রাত থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।