টানা ১৪ দিনে ১৬০০ কিলোমিটার পথ হেঁটেও বাড়িতে ঢুকতে পারল না ছেলে!

0
1
প্রতীকী ছবি

করোনার জেরে লকডাউন। আর তাতেই কাজ করতে এসে কর্মস্থানে আটকে পড়েছিলেন অশোক কেশরী। বছর ২৮ এর অশোকের বাড়ি বারাণসী। মুম্বইয়ের নাগপড়ার এক হোটেলে কাজ করতেন অশোক। করোনার ফলে দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা করা হয়। বন্ধ হয়ে যায় হোটেল। এরপরই পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় অশোক।

এরপর টানা ১৪ দিন ধরে প্রায় ১৬০০ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে বারাণসীর সপ্তসাগর দাওয়া মান্ডি এলাকার বাড়িতে ফেরেন অশোক। কিন্তু পায়ে হেঁটে ১৬০০ কিমি পথ অতিক্রম করে বাড়ি পোঁছানোর পরেও বাড়িতে ঢুকতে দেয় না অশোকের মা।

অশোক জানিয়েছেন, তাঁর মা এবং ভাই তাঁকে আগে হাসপাতালে স্ক্রিনিং করানোর পরামর্শ দেন। সে কথা মতো সে কবীর চৌরার ডিভিশনাল হাসপাতালে।
সেখানে করোনাভাইরাস সংক্রমণের নমুনা পরীক্ষা হয়। নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট নেগেটিভ বলে হাসপাতালের ডাক্তাররা জানান। তার পর সে বাড়ি যায়। তিনি আরও জানিয়েছেন, রেললাইন ধরে হেঁটেছেন, বেশিরভাগ সময়ই কোন খাওয়ার জোটেনি। কখনও কেউ দয়া করে কিছু খেতে দিলে তবেই তিনি খেতে পেয়েছেন। বারাণসী ক্যান্টনমেন্ট স্টেশন পৌঁছে বন্ধুদের ফোন করলে তাঁরাও তাকে আগে হাসপাতালে যাওয়ার পরামর্শদেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, অশোক বাড়িতে যাওয়ার পরে প্রতিবেশিরা পুলিশে খবর দেয়। কোতোয়ালি ইনস্পেক্টর মহেশ পান্ডের মধ্যস্থতায় অশোক বাড়িতে প্রবেশ করতে পারে। অশোক জানিয়েছে, করোনায় আক্রান্ত না হওয়ায় তাকে হাসপাতাল থেকে ছেঁড়ে দেওয়াআ হয়েছে । কিন্তু তাকে ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে। সেই মতো সে তাঁর বাড়িতে একটি আলাদা ঘরে রয়েছেন।