‘লকডাউন ভাঙবেন না’, পথে নেমে সতর্ক করছেন খোদ ‘যমরাজ’

0
1

আসরে এবার খোদ ‘যমরাজ’!

পথে ঘুরে সতর্ক করছেন সাধারন মানুষকে৷ বলছেন, “লকডাউন না মানলেই মৃত্যুপুরীতে টেনে নিয়ে যাওয়া হবে”৷

উত্তরপ্রদেশ পুলিশ মানুষকে সতর্ক করতে এবার যমরাজ’কে নিয়ে এসেছে৷ উত্তরপ্রদেশের পথে-ঘাটে যমরাজ সেজে ঘুরে বেড়াচ্ছে পুলিশ৷ করোনা নিয়ে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতেই এই উদ্যোগ৷

হিন্দু ধর্মের মৃত্যুদেবতা ”যমরাজ’৷ করোনা ভাইরাস যখন রীতিমতো মৃত্যুদূত হয়ে ভারতের সর্বত্র দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, সেই সময়েই সাধারণ মানুষকে সতর্ক করার দায়িত্ব নিলেন স্বয়ং ”যমরাজ”। উত্তরপ্রদেশের লখনউ থেকে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দূরে বাহরাইচের রাস্তায় ঘোরাঘুরি করছেন তিনি৷ লকডাউনের সময় যাতে কোনও মানুষ ঘরের বাইরে পা না দেন সেই ব্যাপারে মানুষজনকে সতর্ক করছেন।

শুধু এইটুকুই নয়, রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে ওই যমরাজ বলছেন, যাঁরা ‘সামাজিক দূরত্বের নিয়ম লঙ্ঘন করে রাস্তায় বের হবেন, তাঁদের নরকে নিয়ে গিয়ে লকডাউন করে দেবেন তিনি।
সোনালি ও লাল, কালো পোশাকে ”যমরাজ” সেজে যিনি ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তিনি আসলে বাউন্ডি থানার পুলিশ কনস্টেবল লভকুশ মিশ্র। ইয়াব্বড় গোঁফ এবং সোনার মুকুট পরে তাঁকে দেখে ”যমরাজ” হিসাবে বেশ মানিয়েছে বলেই সাধারন মানুষ বলছে৷ মাইক হাতে যমরাজরূপী ওই পুলিশ কর্মীকে বলতে শোনা যায়,
“আমি যমরাজ I করোনা ভাইরাসকে আটকাতে যে লকডাউন হয়েছে তার নিয়ম যদি আপনি না মেনে চলেন, তবে এই গ্রহে আর কোনও মানুষই বাঁচবে না I আমিই সকলের মৃত্যুর কারণ হয়ে উঠবো। আপনি যদি সামান্য অসতর্ক হন তবে আমি আপনাকে আমার সঙ্গে করে নিয়ে মৃত্যুপুরীতে চলে যাব”৷ যমরাজের সুপরামর্শ,
“এই লকডাউন লঙ্ঘন করা উচিত নয় এবং অহেতুক বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। সবসময় অন্তত একটি রুমাল মাস্ক হিসাবে ব্যবহার করা উচিত, নিজের হাত বারবার সাবান দিয়ে ধুয়ে নেবেন, স্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন এবং একে অপরের থেকে এক থেকে দুই মিটার দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন”৷