দেশজুড়ে সর্বত্র প্রশ্ন লকডাউনের সময়সীমা কি বাড়ানো হয়েছে? কেন্দ্রীয় সরকার বা প্রধানমন্ত্রী কি সরকারিভাবে সময় বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছেন? যদি উত্তর না হয়, তাহলে লকডাউনের দু’সপ্তাহ বৃদ্ধিতে সরকারি সিলমোহর দেওয়া হচ্ছে কীভাবে?
সূত্রপাত শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবান্নতে সাংবাদিক সম্মেলন। নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন লকডাউন আরও দু’সপ্তাহ বাড়ানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। সে নিয়ে খবর হয়ে যায়। শুধু তাই নয় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও একই কথা জানিয়ে ট্যুইট করেন। অথচ নরেন্দ্র মোদি বা কেন্দ্রীয় সরকার এই ঘটনার পরেও মুখ খোলেনি। কেন? প্রশ্ন উঠছে মোদির হলোটা কি? টিভির সামনে আশা মোদির একটা স্বাভাবিক অভ্যাস। তা সে ভারতের মঙ্গল অভিযান হোক, পাকিস্তানে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হোক কিংবা দেশে জনতা কারফিউ বা লকডাউন হোক, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে বারবার এসেছেন প্রধানমন্ত্রী। তাহলে এবারে নয় কেন? যে ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর করার কথা, তা কার্যত করে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরবিন্দ কেজরিওয়াল? এমন ঘটনা বিরল। আর এই লকডাউনের বাজারে মোদি তা মেনে নিচ্ছেন কীভাবে? তাঁর কথায় লোকে ঘন্টা বাজিয়েছে, ঘরের আলো বন্ধ করে প্রদীপ জ্বালিয়েছে। আর তিনি কিনা লকডাউন বৃদ্ধির কথা বলার আগেই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা তা ঘোষণা করে দিচ্ছেন? শোনা যাচ্ছে আজ, রবিবার, কিংবা কাল, সোমবার প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণ দিতে পারেন। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্তের কথা তো দেশ জেনেই গিয়েছে। তাহলে ফের কেন মিছিমিছি টেলিভিশনের পর্দায় আসা!!































































































































