তিন জোনে ভাগ করে উঠুক লকডাউন, মত বিশেষজ্ঞদের

0
1

লকডাউন কি উঠবে? নাকি বাড়ানো হবে তার মেয়াদ? এই নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে। সোমবার বৈঠকে ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। তবে সারা দেশে একেবারে লকডাউন না তুলে, ধাপে ধাপে লকডাউন তোলার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে জোন হিসেবে ভাগ করে লকডাউন তোলার কথা বলছেন তাঁরা।

বিশেষজ্ঞদের অনেকেই বিদেশের উদাহরণ দিচ্ছেন। তাঁদের কথায়, সব জায়গায় লকডাউন না-তুলে সংক্রমণ ও হট স্পটের নিরিখে গোটা দেশকে তিন বা তার বেশি জোনে ভাগ করা উচিত। একটি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিটি জোনের অবস্থা পর্যালোচনা করে লকডাউন তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হোক।

অরুণাচলপ্রদেশ, মণিপুর, মিজোরাম, মণিপুর, পুদুচেরি, ঝাড়খণ্ড, গোয়া, হিমাচলপ্রদেশ, লাদাখ, ছত্তিশগড়, আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের মতো ছোট রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে দেশের বাকি অংশের তুলনায় মৃত্যুর সংখ্যা কম। আক্রান্তের সংখ্যাও সেখানে ২০ ছাড়ায়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই রাজ্য এবং কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলগুলি প্রথম জোন হিসাবে চিহ্নিত করা উচিত। ১৫ এপ্রিলের পর লকডাউন শিথিল করা যেতে পারে।

অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, বিহার, পঞ্জাব, হরিয়ানা, অসম, চণ্ডীগড় এবং জম্মু ও কাশ্মীরের সংক্রমিতের সংখ্যা কোথাও ২৫০ ছাড়ায়নি। তাই দ্বিতীয় জোন করার কথা ভাবা হচ্ছে ওই রাজ্যগুলিকে। জোনটিতে লকডাউন আংশিক শিথিল করা যেতে পারে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।
তৃতীয় জোনে রাখার কথা ভাবা হচ্ছে মহারাষ্ট্র, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, গুজরাত, কেরল, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, দিল্লি, তামিলনাড়ু, তেলঙ্গানা ও কর্নাটকের মতো রাজ্যগুলি।এই রাজ্যগুলিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। সেখানে লকডাউন আপাতত বজায় রাখার পক্ষে সওয়াল করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে ১৪ এপ্রিলের মধ্যে ঠিক হবে লকডাউনের ভবিষ্যৎ।