সরকারি সূত্রের খবর, “বহু রাজ্যের সরকার ও বিশেষজ্ঞরা” ২১ দিনের লকডাউন ১৪ এপ্রিলের মেয়াদের পরেও বাড়ানোর জন্য অনুরোধ জানিয়েছে। কেন্দ্র এই অনুরোধের বিরোধিতা করেনি৷
গত ২৪ মার্চ দেশজুড়ে ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সে সময় এই ৩ সপ্তাহকে ‘লম্বা’ মনে করেছিলেন অনেকে৷
এখন কিন্তু অনেকেই চাইছেন, ২১ দিনেই শেষ নয়, দেশের স্বার্থে বাড়ানো হোক এই জাতীয়- লকডাউন৷ কেন্দ্রীয় সরকারের শীর্ষস্তরের খবর, বহু রাজ্যের সরকার ও বিশেষজ্ঞরা ২১ দিনের লকডাউন ১৪ এপ্রিলের মেয়াদের পরেও বাড়ানোর জন্য যে অনুরোধ জানিয়েছে, কেন্দ্র তা নিয়ে সিরিয়াস চিন্তাভাবনা করছে৷ সোমবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই জানিয়েছেন, “মানুষজনকে দীর্ঘ পথের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে”। এই ‘দীর্ঘ পথ’ ঠিক কী, তা নিয়ে দেশজুড়ে কৌতূহল তুঙ্গে৷ জানা গিয়েছে, মন্ত্রিসভার বৈঠকে মন্ত্রীদের একটি ‘গ্রেডেড প্ল্যান’ নিয়ে আসার অনুরোধ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ বলা হয়েছিলো, পর্যায়ক্রমে বিভিন্ন পথ নির্দেশ করতে হবে ওই গ্রেডেড প্ল্যানে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর বলেছিলেন, ‘জাতীয় স্বার্থে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একটি টিম গোটা পরিস্থিতির মূল্যায়ন করছে। সেই সিদ্ধান্ত সঠিক সময়েই ঘোষণা করা হবে’৷
এদিকে, তেলঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও চাইছেন লকডাউন পর্ব বাড়ানো হোক। বলেছেন, “আমার ব্যক্তিগত মতামত লকডাউনকে আরও দীর্ঘমেয়াদি হোক। আমাদের আগে সাধারন মানুষের জীবন বাঁচানো দরকার, পরে আমরা অর্থনীতি বাঁচাতে পারি,”
রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট পর্যায়ক্রমে লকডাউন প্রত্যাহারের পক্ষে সওয়াল করে বলেন, “আমরা অবিলম্বে লকডাউন প্রত্যাহার করতে পারি না, পর্যায়ক্রমে এটি করতে হবে।” অসমের অর্থমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মাও বলেছেন, তারা জাতীয় লকডাউন প্রত্যাহারের “নিয়মতান্ত্রিক ও বৈজ্ঞানিক” যে কোনও প্রস্তাব সমর্থন করবে।
ওদিকে, কেন্দ্রীয় সূত্র বলছে, “আমরা লকডাউন প্রত্যাহারের পদ্ধতি কী হওয়া উচিত সে বিষয়ে রাজ্যগুলির পরামর্শ নিয়েছি। অনেক রাজ্যই চাইছে না, লকডাউনে যে ইতিবাচক প্রাপ্তি হয়েছে, তা একদিনেই নষ্ট হয়ে যাক৷” কেন্দ্রের এই ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্যেই ধারনা হচ্ছে, লকডাউনের মেয়াদ বাড়ছে ৷