দেশজুড়ে ১৫ এপ্রিল লকডাউন উঠে যাওয়া নিয়ে জল্পনা উসকে দিলেন যোগী আদিত্যনাথ

0
1

আগামী ১৫ এপ্রিল দেশজুড়ে লকডাউন সত্যি উঠে যাবে কিনা তা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই জল্পনা তুঙ্গে । সেই জল্পনাকে উসকে দিলেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। প্রধানমন্ত্রী বা কেন্দ্রের তরফে নয়া নির্দেশিকা এখনও জারি হয়নি। কিন্তু তার আগেই যোগী দাবি করলেন, ১৫ এপ্রিল দেশজুড়ে লকডাউন উঠে যাবে। তিনি এও বলেছেন, লকডাউন উঠে গেলেও বিধিনিষেধ উঠছে না, জমায়েত করতে দেওয়া হবে না।
এই লকডাউনের মেয়াদ আগামী ১৪ এপ্রিল শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে তা বহাল থাকতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে প্রথম স্থানে রয়েছে মহারাষ্ট্র। সে দিকে নজর রেখেই মুম্বই এবং সংলগ্ন এলাকায় লকডাউনের মেয়াদ বাড়ানো হতে পারে বলে জানিয়েছেন সে রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ ব্যাপারে সরকার পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানানো হয়েছে।
অন্য দিকে সংক্রমণের দিক থেকে অন্ধ্রপ্রদেশেও রয়েছে প্রথমের সারিতে। রবিবার পর্যন্ত সে রাজ্যে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে।
এ দিন এখনও পর্যন্ত নতুন করে ৩৬ জন আক্রান্তের হদিশ মিলেছে। মোট সংখ্যা যেখানে ২২০, সেখানে শুধুমাত্র কুর্নুল জেলাতেই চার থেকে এক লাফে আক্রান্তের সংখ্যা ২৭-এ ঠেকেছে। ফলে সে রাজ্যের কিছু এলাকাতেও লকডাউনের মেয়াদ বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।কতকটা একই পরিস্থিতি তেলঙ্গানাতেও। রবিবার পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা দু’শো ছুঁইছুঁই। বিশেষ করে দিল্লিতে তবলিগ জামাতের সম্মেলনে থেকে রাজ্যে ফিরে অন্ধ্রপ্রদেশ এবং তেলঙ্গানায় একাধিক করোনা আক্রান্তের হদিশ মিলছে।
কিছুদিন আগে কেন্দ্র জানিয়েছিল, লকডাউনেন সময়সীমা বাড়ানো নিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। লকডাউন যে বাড়ছে না সে ইঙ্গিত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এবার যোগী আদিত্যনাথও বুঝিয়ে দিলেন, লকডাউনের শেষদিন ১৪ এপ্রিলই।
রবিবার নিজের বাসভবনে রাজ্যের সমস্ত সাংসদ-বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করেন যোগী। জানা গিয়েছে, লকডাউন পরবর্তী প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। কারণ, ১৫ এপ্রিল যোগীর দাবি মতে লকডাউন উঠে গেলে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে প্রশাসনের সামনে।
তিনি বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছেন, লকডাউন উঠে গেলেও আগের মতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। কারণ, লকডাউন উঠে গেলেই মানুষ ফের রাস্তায় বেরিয়ে জমায়েত করবেন বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন। সেই কারণে সাংসদ-বিধায়ক, মন্ত্রীদের পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।