মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মতো করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত কোচবিহার। সেখানে করোনা সেন্টারের জন্য বেশ কয়েকটি জায়গাকে নির্দিষ্ট করে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশে প্রত্যেকটি মহকুমায় আলাদা আলাদা করে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। তুফানগঞ্জের মানসিক হাসপাতালের নতুন ভবনকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কোচবিহার সদর মহকুমার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, দুটি বেসরকারি হোটেলকে বেছে নেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ব্লক স্তরে একটি করে স্কুলকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মাথাভাঙা ও দিনহাটাতেও আলাদাভাবে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার তৈরি করার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কোচবিহারের জেলাশাসক পবন কাদিয়ান জানান, গোটা জেলায় তিন হাজারের বেশি মানুষকে কোয়ারেন্টাইন রাখা সম্ভব হবে। দিনহাটা মহকুমা হাসপাতাল ও কোচবিহার মিশন হাসপাতালকে করোনা আক্রান্তদের বিশেষ চিকিৎসার জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে দু’শোর বেশি রোগীর চিকিৎসা সম্ভব হবে কোচবিহারে।
কোচবিহার জেলায় ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করার শ্রমিক সংখ্যা যথেষ্ট বেশি। কোচবিহার জেলা অসংগঠিত শ্রমিক উন্নয়ন দফতর সূত্রে খবর, জেলার প্রায় ৩০ হাজার মানুষ কর্মসূত্রে বিভিন্ন রাজ্যে চলে যান। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই তাঁরা পরিবার সঙ্গে করে নিয়ে যান। সুতরাং সে ক্ষেত্রে দেখতে গেলে সংখ্যাটা যথেষ্টই বেশি। ইতিমধ্যেই প্রচুর শ্রমিক নিজেদের বাড়িতে ফিরে আসছেন। জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় জানান, ভিন রাজ্য থেকে যে সমস্ত শ্রমিক ইতিমধ্যে কোচবিহার এসে পৌঁছেছেন তাঁদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে। তাদের প্রত্যেককে ২১ দিনের হোম কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে স্থানীয় পরিচিতির কারণে তাঁরা বাইরে বেরিয়ে আসছেন। সে ক্ষেত্রে কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ভিশন প্রয়োজনীয়। সেই কারণেই প্রতিটি ব্লক ভিত্তিক কোয়ারেন্টাইন সেন্টারগুলি তৈরি করা হয়েছে।