আমেরিকায় করোনার মৃত্যুসংখ্যা এক লাখের মধ্যে রাখাই ট্রাম্পের লক্ষ্য!

করোনা আপডেট :৩০ মার্চ, রাত ৮ টা। বিশ্ব : আক্রান্ত ৭,৪১,৯০৭, মৃত ৩৫,৩৩৭। দেশ : আক্রান্ত ১০৭১, মৃত ৩০। রাজ্য : আক্রান্ত ২২, মৃত ২

0
1

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় ২ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে করোনাভাইরাসের জটিল সংক্রমণে। দেশের প্রথম সারির বিশেষজ্ঞরা এমন সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করার পর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সম্পূর্ণ অবহিত। করোনার মৃত্যুসংখ্যা ১ লক্ষের মধ্যে রাখাটাই এখন আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ। এটা করতে পারলেই আমরা সফল হব। আমরা সেই দিকেই এগোচ্ছি।

প্রসঙ্গত, করোনার সমস্যাকে প্রথমদিকে সেভাবে গুরুত্ব না দিলেও এখন নড়েচড়ে বসেছে ট্রাম্প প্রশাসন। অনেক বিশেষজ্ঞই বলছেন, করোনা প্যানডেমিকের পরবর্তী এপিসেন্টার বা ভরকেন্দ্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বিশেষজ্ঞদের কাছে চরম আশঙ্কার পূর্বাভাস পেয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত সোশ্যাল ডিসট্যান্সিংয়ের গাইডলাইন পুরোপুরি মেনে চলার নির্দেশ জারি করেছেন। নিউইয়র্ক, নিউজার্সি ও কনেটিকাটের বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রের অন্য প্রদেশে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এর আগে ১২ এপ্রিল ইস্টার উৎসবে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার কথা বললেও করোনা-পূর্বাভাস পেয়ে তা নিয়ে আর উচ্চবাচ্য করছেন না ট্রাম্প। এপর্যন্ত আমেরিকায় করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ৪২ হাজার ২০০। মৃত্যু সংখ্যা ২৪৮৪। সুস্থ হয়েছেন ৪৫৫৯। করোনা টেস্ট হয়েছে ৮ লক্ষ ৯৪ হাজার মানুষের।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রখ্যাত সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ও ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের ডিরেক্টর ড. অ্যান্টনি এস ফুসি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকে ভবিষ্যৎ আশঙ্কার চিত্র তুলে ধরেছেন। তাঁর বক্তব্য, যে গাণিতিক মডেল মেনে রোগ সংক্রমণের হার বিচার করা হয় সেই মডেল অনুযায়ী, শুধু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেই দু’ লক্ষ মানুষের প্রাণ যেতে পারে করোনার আক্রমণে। ভাইরাসের সংক্রমণ আমেরিকার সব জায়গাতেই ছড়ানোর আশঙ্কা করেছেন তিনি। ফুসির বক্তব্যের সঙ্গে একমত হোয়াইট হাউসের করোনা টাস্ক ফোর্সের কো-অর্ডিনেটর ড. ডিএল বার্কসও। এই অভূতপূর্ব স্বাস্থ্যসংকটের মোকাবিলায় তাঁরা প্রয়োজনীয় সুপারিশ করেছেন প্রশাসনের কাছে।