ভয় ও আতঙ্কের উর্ধ্বে উঠে গেছে মানব সমাজ। একদিকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের আতঙ্ক। অন্যদিকে, সরকারি নির্দেশ অমান্য করে জমায়েত। উভয় দিকেই সাবলীল কোচবিহারের বাসিন্দারা।
জমায়েতে আলোচনা হচ্ছে কীভাবে করোনাভাইরাসের সংক্রমণকে আটকানো যায়। অথচ জমায়েত করা মানেই যে সংক্রমণকে আমন্ত্রণ জানানো, এটাই ভুলে যাচ্ছেন তারা। সকাল হতে না হতেই জেলার বাজারগুলোতে উপচে পড়া ভিড়। যা আরও একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ‘আমরা সচেতন হই নি।’ দিনহাটা, মাথাভাঙা মহাকুমার প্রশাসন যথেষ্ট কঠোর হলেও, জেলা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অথচ জমায়েতের উপরে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। কাস্টমার মার্কিং করা হয়েছে। এমনকী পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এরপরেও জনগণ কোন কিছুরই তোয়াক্কা করছেন না।
রবিবার বিকেল থেকে করোনাভাইরাস সংক্রমণের তৃতীয় ধাপে পড়তে চলেছে দেশ। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের একজন সংক্রমিত রোগীর হদিস মিলেছে। সোমবার থেকে শুরু হবে রক্ত পরীক্ষা। সেখানে আরও কত মানুষের শরীরে এই ভাইরাস মিলবে তা নিয়ে রীতিমতো চিন্তায় কালঘাম ছুটছে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
শহরাঞ্চল থেকে সামান্য দূরে পুন্ডিবাড়ি, রাজারহাট, সাতমাইল, ডাউয়াগুড়ি, ডোডেয়ার হাট এলাকায় খোলা সব দোকান। ফলে দেদারে জমায়েত হচ্ছে এলাকায়।
যে পরিস্থিতি রয়েছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে শুধুমাত্র কোচবিহার নয় গোটা উত্তরবঙ্গের সংক্রমণ মাত্রা কয়েক শ’ ছাড়িয়ে যাবে বলে অনুমান স্বাস্থ্য দফতরের।





























































































































