এবার কিন্তু রাস্তায় দেখলেই কাঁচা খিস্তি দেব

0
1
শ্রেয়া বসু

ভেবেছিলাম এই ব্যাপারে অন্তত মুখ খুলতে হবেনা,কিন্তু দেখলাম আপনার মান আর হুঁশ কোনটাই নেই। শুধু দুই পায়ে চলতে শিখে গেছেন। কতগুলো মানুষ নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে আপনার ভালো করার আর আপনি প্রতি মুহূর্তে তাদের চ্যালেঞ্জ করে যাচ্ছেন! কি চাইছেন? সুইসাইড করতে? করুন না,মেট্রো স্টেশন আছে, বাড়ির ছাদ আছে, চলে যান। নিজে মরবেন আবার লোককেও মারবেন এই মানসিকতা ত্যাগ করুন। বাপের জন্মে শুনিনি আপনাকে বাঁচানোর জন্য আপনাকে পেটাতে হবে। মার খাওয়া অভ্যেস হয়ে গেছে? ছোটবেলায় মায়ের কাছে, পরে হয়তো বৌ বা প্রেমিকার কাছে আর বয়স কালে এই চরিত্র থাকলে ছেলে মেয়েদের কাছেও খাবেন।

শিরদাঁড়া বলে তো কিছু নেই মানলাম,কিন্তু একবার চারপাশটা তাকিয়ে দেখুন সরীসৃপগুলোও বেরোচ্ছেনা। থার্ড স্টেজে পৌঁছে যাচ্ছি আর আপনি নমুনা করে পাড়ার মোড়ে একটা মাস্ক গলায় ঝুলিয়ে আড্ডা মারছেন। কখনো আবার মাথায় তুলে রাখছেন মাস্ক। ত্রিশূলে কনডম পড়াচ্ছেন? ভাবতে পারছেন এই ডাক্তার,পুলিশ এরা নিজের প্রাণ বাঁচাতে এই মুহূর্তে ঘরে ঢুকে গেলে আপনার কি হবে? শিরদাঁড়ার সঙ্গে শরীরে আর যা যা দাঁড়ায় সব গুটিয়ে যাবে।
আপনাদের অবস্থা এখন অনেকটা ওই সব মহিলাদের মত যারা জানে তাদের বর অন্য কারোকে ভালোবাসে, তবু নিজের আত্মসম্মান নেই বলে, জেনেও না জানার ভান করে বসে থাকে ।কিছুটা নিজের স্বার্থে। (প্রসঙ্গত বলি, আমি বিশ্বাস করি মেয়েরা চাইলে সব পারে, নারীবাদীরা লাফাবেন না। আত্মসম্মান এর ওপরে কিছু হয়না)।আপনি জানেন বাইরে গেলে মরবেন,তবু নিজের জেদ বজায় রাখতে বা নেহাত কৌতূহল বসে বাইরে ঘুরে বেড়াবেন।সত্যি বলছি খবরে দুটো শিশুকে আক্রান্ত হতে দেখে ঘেন্না হচ্ছে সেই পরিবারটির ওপর ।কতটা নির্লজ্জ হলে এরকম কেউ করতে পারে।যদিও আপনারাও পারেন।

অনেকদিন হলো দেখছি,এবার আর শুধু দেখবোনা, বিনা কারণে আড্ডা মারতে বা ঘুরে বেড়াতে দেখবো,কাঁচা খিস্তি বর্ষণ করবো। আর সেটা বিনা মেঘেই বজ্রপাত হবে। বয়স মানবনা আগেই বলে দিচ্ছি। এমনিতেই জানেন আমার মুখ কিন্তু ভালো না।