প্রধানমন্ত্রীর ফোন পুণের এক নার্সকে, অক্লান্ত পরিষেবার জন্য কুর্নিশ জানালেন

0
1

বাড়ি ফেরেননি বেশ কয়েক দিন। ঘুমাতে যাননি বেশ কিছু রাত।
কিন্তু এসব কিছুই বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি৷
ডাক্তারদের পাশে দাঁড়িয়ে লড়ছেন করোনা- আক্রান্তদের সুস্থ করার লড়াইয়ে।

তিনি পুণের নাইডু হাসপাতালের এক নার্স, নাম ছায়া জগতাপ। কিন্তু এই অক্লান্ত পরিশ্রমের ‘বিনিময়ে’ কী পেলেন তিনি?
শুক্রবার সন্ধ্যায় তা বুঝলেন ছায়া জগতাপ ।

খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ফোন এলো তাঁর কাছে৷ ধন্যবাদ জানালেন ছায়াকে। বললেন, তিনি কৃতজ্ঞ ছায়া এবং ছায়ার মতো হাজারো নার্সদের কাছে।

ফোনে প্রধানমন্ত্রীর মুখে প্রশংসা শুনে ছায়ার চোখের কোণায় আনন্দের অশ্রু৷

এই খবর জানা গিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে। আর খবরের সত্যতা স্বীকার করেছে পুণে মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনও।

মারাঠি ভাষায় কথা হয়েছে দু’জনের৷ প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী তাঁর শরীরের খোঁজখবর নেন। তারপর জানতে চান, রোগের বিরুদ্ধে লড়ার সময় নিশ্চয়ই তাঁর পরিবার প্রথমে আতঙ্কিত হয়েছিলেন ছায়ার সুস্থতা নিয়ে! কী করে সেই ভয় কাটালেন?

উত্তরে ছায়া জানান, তাঁর বাড়ির লোক তাঁকে নিয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ছিলেন। কিন্তু তিনি পরিবারকে বুঝিয়ে শান্ত করতে পেরেছেন৷

এরপরেই প্রধানমন্ত্রী তাঁকে জিজ্ঞেস করেন, হাসপাতালে ভর্তি রোগীরা কি অতিরিক্ত আতঙ্কিত?

ছায়া তাঁকে জানান, রোগীদের বোঝানোর চেষ্টা করছি আমরা৷ বলছি, পরীক্ষার ফলাফল নেগেটিভই বেরোবে। অযথা ভয় পাবার কোনও কারণ নেই।

এর পরেই প্রধানমন্ত্রীকে আশার বাণী শুনিয়ে সেবিকা ছায়া জগতাপ তাঁকে জানান, তাঁদের হাসপাতাল থেকে করোনা সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭ জন রোগী।
প্রধানমন্ত্রী তখন তাঁকে বলেন, এই যে আশার বাণী শোনালেন, তা সবাইকে শোনাতে হবে৷

প্রধানমন্ত্রীর এই অনুরোধে
ছায়া বলেন, “আপনি ভয় পাবেন না। আমরা সবাই মিলে লড়াই করে পারব দেশ থেকে এই রোগ তাড়াতে। এটাই এখন দেশের সমস্ত হাসপাতাল ও কর্মীদের একমাত্র লক্ষ্য।”

প্রধানমন্ত্রী নিষ্ঠা ও সেবার জন্য আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে জগতাপকে বলেন, “আপনার মতো লক্ষ লক্ষ নার্স, প্যারামেডিক্যাল স্টাফ, চিকিৎসক দেশের সেবায় নিয়োজিত। আপনাদের সবাইকে কুর্নিশ।”