একদিকে করোনার আতঙ্ক, বাড়ছে মৃত্যু-মিছিল, অন্যদিকে সমানতালে চলছে দোষারোপ। বিভিন্ন এজেন্সি মারফত খবর আসছে করোনা আসলে প্রাকৃতিক ভাইরাস নয়, এর আবিষ্কার নাকি গবেষণাগারে, এবং এ ব্যাপারে অনেকেই চিনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে। কিন্তু এভাবে অন্ধকারে ঢিল ছোড়া কি সঠিক হচ্ছে? ক্রিস্টিয়ান অ্যান্ডারসন নামে এক গবেষক সম্প্রতি একটি ম্যাগাজিনের তথ্য দিয়েছেন। সেই তথ্য কিন্তু কিছুটা হলেও ভাইরাস উৎপত্তি নিয়ে কিছুটা সন্দেহ নিরসন করতে পারে। তিনি স্পষ্ট জানাচ্ছেন এটি প্রাকৃতিক ভাইরাস। রসায়নাগারে তৈরি হয়নি। শুধু তাই নয় নিউ অরল্যান্স বিশ্ববিদ্যালয়ের ভায়রোলজিস্ট বলছেন, চিনের উহানে গবেষণাগারের পাশেই মাছ বাজার তাই সহজেই এই তথ্য দিয়ে দেওয়া যায়। কিন্তু তা সঠিক নয়। দুই বিজ্ঞানীরই বক্তব্য, কোনও ভাইরাসকে কৃত্রিমভাবে তৈরি করতে গেলে কোনও পূর্ববর্তী ভাইরাসের চরিত্রের লক্ষণ অনুযায়ী করতে হয় অথবা বহু ভাইরাসের গুণাগুণ মিশিয়ে করতে হয়। নতুন ভাইরাস কোভিড-১৯-এর ক্ষেত্রে হয়েছে উল্টো। এর নিজস্ব চরিত্র আছে এবং এই নিজস্বতা প্রকৃতি থেকেই পেয়েছে। এই ভাইরাসের জিনের গঠন দেখে বোঝা যায় অন্য কোনও ভাইরাসকে ভিত্তি করে তৈরি হয়নি। এই ভাইরাসের সঙ্গে প্যাঙ্গোলিন ভাইরাস ও ব্যাট ভাইরাসের মিল রয়েছে। ফলে রাতারাতি কৃত্তিম ভাইরাস তৈরির সম্ভাবনা একেবারে নেই।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.