করোনা নিয়ে এ কী কথা শোনাল ভারতের গবেষণা সংস্থা!

0
11

ভয়াবহ আশঙ্কার কথা শুনিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ বা আইসিএমআর। তাদের রিপোর্ট বলছে লক ডাউন করে, পারস্পরিক দূরত্ব তৈরির জেরে ভারতে সংক্রমণ প্রায় ৬২% কমানো সম্ভব। কিন্তু এই লক ডাউন তত্ত্ব ততক্ষণই খাটে, যতক্ষণ না গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়। আর আইসিএমআর-এর দাবি, এই গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারিতে সমীক্ষা চালায় আইসিএমআর। বিদেশ থেকে আগত বিমান যাত্রীদের থেকে করোনা ছড়ানো নিয়ে সমীক্ষা হয়। আর তাতে দেখা যাচ্ছে এই তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি, তারপর মুম্বই, কলকাতা, বেঙ্গালুর, চেন্নাই হায়দরাবাদ। তবে দিল্লির চাইতে মুম্বই এই মুহূর্তে তালিকার শীর্ষে রয়েছে। গৃহবন্দি থাকলে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা ৬২ শতাংশ কমে যায় কিন্তু গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়ে গেলে ভারতে মৃত্যু মিছিল শুরু হবে বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বিশেষজ্ঞদের মতে ৮০% ব্যক্তির শরীরে কোনও উপসর্গ দেখা যায় না। আর সেই কারণেই একজনের থেকে অন্যদের সংক্রামিত হতে থাকে দ্রুত। তাই এই ভাইরাস রক্ষার একমাত্র রাস্তা হল ঘরে থাকা। আমেরিকার হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলছেন ভারতের স্বাস্থ্য কাঠামো অনুযায়ী মে মাসের মধ্যে ভারতে ১০থেকে ১৩ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হতে পারেন। যদিও তাদের বক্তব্য এই মুহূর্তে আমেরিকা বা ইতালির চাইতে ভারত ভালোভাবেই করোনার মোকাবিলা করছে। কিন্তু কতজন রোগীকে পরীক্ষা করা হচ্ছে, পরীক্ষা নির্ভুল হচ্ছে কি না, ঘনঘন পরীক্ষা হচ্ছে কি না, মহামারী রোখার সাফল্য তার উপরই নির্ভর করে।