করোনাভাইরাসের আক্রমণে গোটা বিশ্ব তথা এদেশে অভূতপূর্ব স্বাস্থ্য সংকটের মুখে ফের একবার সাহসী দেশনেতার ভূমিকায় দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মত কম জনসংখ্যার দেশ সঠিক সময়ে যে সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি, তা ১৩৫ কোটির ভারতে নিতে পেরেছেন মোদি। সময়োচিত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিতে না পারার জন্য ইউরোপের বহু দেশ, ব্রিটেন, আমেরিকার মত উন্নত দেশে মৃত্যুমিছিল শুরু হয়েছে। ভারতের মত উন্নয়নশীল ও ঘন জনবসতিপূর্ণ দেশে সেই হারে রোগ ছড়ালে কী অবস্থা হতে পারে তা অনুমান করা অসম্ভব নয়। এদেশের সাধারণ থেকে প্রথিতযশা সমস্ত স্তরের চিকিৎসকরা কদিন ধরে একটা পরামর্শই দিচ্ছিলেন যে লকডাউন ঘোষণা করে মানুষকে ঘরবন্দি করতে না পারলে বাঁচার পথ নেই। অর্থনীতিতে বড় মাপের নেতিবাচক প্রভাব পড়ার ঝুঁকি নিয়েও চিকিৎসক সমাজের পরামর্শকে যথাযথ মান্যতা দিয়ে দেশবাসীর স্বাস্থ্য সুরক্ষাকেই সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বললেন, জীবন থাকলে তবেই তো আশা থাকবে! ২১ দিন জাতীয় লকডাউনের গুরুত্ব বোঝাতে বললেন, এখন যদি আমরা ২১ দিন ঘরবন্দি না থাকি তাহলে গোটা দেশ ২১ বছর পিছিয়ে যাবে। মোদির এদিনের সাহসী সিদ্ধান্ত ভবিষ্যতেও ‘স্টেটসম্যান’ হিসাবে তাঁর ভূমিকার নজির হয়ে থাকবে।































































































































