পড়ুয়াদের হাতে মিড-ডে মিল, বদলি দুই শিক্ষক

0
34

করোনার জেরে স্কুল বন্ধ রাজ্যে। অথচ সোমবার মিড-ডে মিলের চাল-আলু নিতে স্কুলে উপস্থিত হয়েছিল পড়ুয়ারা। তার জেরে বদলি করা হলো যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য এবং কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক কাজি মাসুম আখতারকে।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই বদলি। তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে। সরিয়ে দেওয়া হয় স্কুলশিক্ষা দফতরের মিড-ডে মিলের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিককেও। এক নির্দেশিকায় পর্ষদ সভাপতি উল্লেখ করেন, যাদবপুর বিদ্যাপীঠের শিক্ষক পরিমল ভট্টাচার্য এবং কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠের প্রধান শিক্ষক কাজি মাসুম আখতারকে বদলি করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক হিসেবে আখতারকে নিয়োগ করা হয়েছে উত্তর কলকাতার হরনাথ বয়েজ হাইস্কুলে। ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক শুভাশিস দণ্ডপতকে কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠের টিচার ইনচার্জ করা হয়েছে। অন্যদিকে, পরিমল ভট্টাচার্য্যকে বদলি করা হয়েছে উত্তর কলকাতার রানী ভবানী হাইস্কুলে। যাদবপুর বিদ্যাপীঠে সহকারী শিক্ষক বিজয়রঞ্জন আচার্যকে টিচার ইনচার্জের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

এদিকে শিক্ষক বদলি ঘিরে ক্ষোভ জন্মেছে শিক্ষক মহলে। এই ঘটনায় শিক্ষক বদলির যুক্তি আছে কি না প্রশ্ন উঠছে তা নিয়েও। ছাত্রছাত্রীদের জন্য মিড-ডে মিলের চাল-আলু দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই নির্দেশ মোতাবেক সোমবার চাল-আলু দেওয়া হয় রাজ্যের সব স্কুলে। শিক্ষামন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, এই চাল এবং আলু তুলে দেওয়া হবে অভিভাবকদের হতে। অভিযোগ, সরকারের নির্দেশ উপেক্ষা করে পড়ুয়ারা উপস্থিত হয়েছিল স্কুলে।

সোমবারের এই ঘটনায় শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ স্কুলগুলিকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, কোনও পড়ুয়া চাল-আলু নিতে স্কুলে আসবে না। অভিযুক্ত তিন জন বার বার নিয়ম ভেঙে কাজ করেছেন। সেটা নজরে আসার পরেই ওঁদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’ চাল-আলুর জন্য ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে আসায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষামন্ত্রী।