‘লকডাউন’ শব্দ ব্যবহার না করেই রাজ্যের বন্ধ-বিধি

0
46

করোনা-সতর্কতায় রবিবার বিকেলে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের যে বিজ্ঞপ্তিতে জারি করেছে, তাতে ‘লকডাউন’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়নি। ‘কমপ্লিট সেফটি রেস্ট্রিকশন’ বা ‘পূর্ণ নিরাপত্তা বিধিনিষেধ’— সাড়ে ৪ দিনের জন্য অবশ্য ‘লক ডাউন’- এর মতো বন্দোবস্তই জারি থাকবে৷

কী কী সম্পূর্ণ বন্ধ থাকছে সাড়ে চার দিনের এই লকডাউনে:

১. বাস, অটো, ট্যাক্সি-সহ গোটা গণপরিবহণ ব্যবস্থা বন্ধ। ট্রেনও বন্ধ হয়ে যাচ্ছে সোমবার রাত থেকেই।

২. দোকানপাট, সব ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, অফিস, কারখানা, গুদাম বন্ধ।

৩. বিদেশ থেকে ফিরেছেন এমন নাগরিকরা এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের দ্বারা নির্দেশিত ব্যক্তিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের পরবর্তী নির্দেশ না পাওয়া পর্যন্ত বাধ্যতামূলক ভাবে ঘরে থাকবেন।

৪. সামাজিক দূরত্ব বহাল রাখার জন্য খুব জরুরি প্রয়োজন না পড়লে প্রত্যেককে ঘরে থাকতে বলা হচ্ছে ।

রাজ্য সরকার একই সঙ্গে জানিয়েছে কোন কোন বিষয় ছাড় পাচ্ছে লকডাউনের আওতা থেকে৷ দেখে নিন লকডাউনের বাইরে কী কী থাকছে ৷

১. হাসপাতাল ও অন্যান্য আপৎকালীন কাজের জন্য ব্যবহৃত যাত্রিবাহী গাড়ি ও মালবাহী গাড়ি

২. আইন-শৃঙ্খলা, আদালত ও সংশোধনাগার বিভাগ

৩. স্বাস্থ্য পরিষেবা

৪. পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনী, আধাসেনা

৫. বিদ্যুৎ, পানীয় জল সরবরাহ এবং জঞ্জাল অপসারণ পরিষেবা

৬. দমকল, অসামরিক প্রতিরক্ষা এবং আপৎকালীন পরিষেবা

৭. টেলিকম, ইন্টারনেট ও তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্র

৮. ব্যাঙ্ক ও এটিএম

৯. খাবার, মুদিখানা, সবজি, ফল, মাংস, মাছ, পাউরুটি এবং দুধের বিক্রয়, মজুত এবং পরিবহণ ব্যবস্থা

১০. মুদিখানার সামগ্রী এবং খাবারের হোম ডেলিভারির জন্য ব্যবহৃত ই-কমার্স ব্যবস্থা

১১. পেট্রোল পাম্প, এলপিজি গ্যাসের দোকান, জ্বালানি তেল সংস্থা, সংস্থাগুলির গুদাম এবং পরিবহণ ব্যবস্থা

১২. ওষুধের দোকান, চশমার দোকান, ওষুধ উৎপাদন ও পরিবহণ

১৩. সংবাদমাধ্যম

১৪. অত্যাবশ্যক পণ্যের উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত কলকারখানা