বারুইপুরের পর এবার দমদম সেন্ট্রাল জেল। এবার আরও ভয়াবহ। পরপর মৃত্যু। এক্সটেনসনে থাকা শীর্ষ কর্তা ডিজি কারা অরুণ কুমার গুপ্ত কার্যত ব্যর্থ জেলের অভ্যন্তরীন নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রাখতে। এই ঘটনার পরই ‘এখন বিশ্ববাংলাসংবাদ’ প্রশ্ন তোলে এই দায়িত্বজ্ঞানহীন অফিসারের কাজকর্ম নিয়ে। তারই ঘন্টাখানেক পরই খবর আসে ওই অফিসারকে সরিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঘটনায় এখনও পর্যন্ত নিহত চার, আহত প্রায় ২৫। আহতদের আরজিকর মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়েছে।
কেন সংঘর্ষ? করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠকাতে অন্যান্য জায়গার মতো জেলেও লোকচলাচল কম করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে বন্দিরদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকজনদের সাক্ষাত বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া করোনার প্রকোপ ছড়িয়ে পড়ায় তাদের আদালতেও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। এনিয়ে বিক্ষোভ শুরু হয় বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে। শনিবার তীব্র বচসা শুরু হয়ে যায় জেল কর্তৃপক্ষ ও বন্দিদের মধ্যে। জেল সুপার নিজে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন। তাঁকে ঘিরেও প্রবল বিক্ষোভ হয়। এরপরই পুলিস-বন্দি সংঘর্ষে শুরু হয়ে যায়। বন্দিরা জেলের রেকর্ড রুমে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভেঙে দেওয়া হল জেলের সিসিটিভি। অভিযোগ উঠছে বন্দিরাও গুলি, ইট চালিয়েছে। ইটের আঘাতে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন পুলিস কর্মী।দেখা যায় বন্দিদের হাতে অস্ত্র। এও দেখা যায় জখম বন্দির ছবি মোবাইলে তুলছে আরেক বন্দি। এছাড়াও বন্দিরা জেলের মধ্যে কম্বল তৈরির ঘরটিতেও আগুল লাগিয়ে দেয়। পুলিশ-কয়েদি সংঘর্ষে প্রাণ হারায় বেশ কয়েকজন কয়েদি। এদের মধ্যে একজন বাংলাদেশী বলে জানা গিয়েছে। সন্ধের পর থেকে মৃতদেহগুলি বার হতে থাকে। অসমর্থিত সূত্রের খবর সরকারী হিসেবে চারজনের মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেলেও মারা গিয়েছেন অন্তপক্ষে পাঁচজন। আহতের সংখ্যা ২৫ ছাড়িয়েছে।





























































































































