থেমে গেল ভোকাল টনিক। নিভে গেল প্রদীপ। ১৯৫১ সাল। সন্তোষ ট্রফিতে বিহারের রাইট উইংগারটি চোখ কাড়ল কর্মকর্তাদের। বল যেন কথা বলে। নাম জানা গেল প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর দেখতে দেখতে ভারতের ফুটবল আকাশে নক্ষত্রের জায়গা করে নিলেন এই প্রবাদপ্রতীম ফুটবলার। ময়দানের নাম পিকে ব্যানার্জি। ১৯৬০ সালে পদ্মশ্রী, ১৯৬১ সালে অর্জুন পুরস্কার। ফিফার পক্ষ থেকে তাঁর গোটা ফুটবল জীবনের জন্য দেওয়া হয়েছে ফুটবল সর্বোচ্চ সম্মান, ‘অর্ডার অব মেরিট’।
কলকাতা ময়দানে প্রথম দল আরিয়ান, তারপর ইস্টার্ন রেলওয়ে। ১৯৫৫ সালে জাতীয় দলের হয়ে প্রথম মাঠে নামেন। ১৯৫৮,৬২,৬৬-র এশিয়ান গেমসে তিনি ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৫৬ এবং ৬০-র অলিম্পিকেও তিনি ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৬৭ সালে স্পাইক তুলে রাখলেও, মাঠ ছাড়েননি। ফুটবল কোচ হিসেবে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন বাংলার দুই প্রধানকেই। অমল দত্ত ভার্সেস পিকে ব্যানার্জি দ্বৈরথ, চিরকাল মনে রাখবে বাংলা ফুটবল। সাতই ফেব্রুয়ারি থেকে কলকাতার এক বেসরকারি নার্সিং হোমে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি ছিলেন তিরাশি বছরের প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক। রক্তচাপটাও লাগাম ছাড়া। এছাড়াও হৃদযন্ত্রেও সমস্যা ছিল প্রাক্তন অলিম্পিয়ানের। পিকের যাবতীয় চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবার বিকেল থেকে তাঁর শরীরের একাধিক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ করে দেয়। তাঁকে পুরোপুরি ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। শুক্রবার দুপুর ২টো ৮মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। পিকের মৃত্যুতে ময়দানে নেমে আসে শোকের ছায়া।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.