করোনা-মৃত্যুর সংখ্যায় চিনকে হারিয়ে দিলো ইতালি

0
11

বিশ্বজুড়ে করোনা- ভাইরাসের দাপট চলছেই। WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাব, এই মুহূর্তে বিশ্বের ১৭৭টি দেশে এই মারণ ভাইরাস ছড়িয়েছে। মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৪১ হাজার। আর মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৯,৯৫৫ জন।

মৃত্যুসংখ্যার হিসাবে সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি ইতালির। বৃহস্পতিবার করোনা সংক্রমণে মৃত্যুর নিরিখে চিনকে ছাপিয়ে গিয়েছে ইতালি৷
আপাতত পাওয়া তথ্য বলছে ২০১৯-এর শেষ দিকেই চিন থেকে বিশ্বে কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে। চিনে এই ভাইরাসের বলি হয়েছেন মোট ৩,২৪৫ জন। এর মধ্যে নতুন মাত্র ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে।

আর ইতালিতে মৃতের সংখ্যা এখনই ৩ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে। আতঙ্কের কথা, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে আরও ৪২৭ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার হানায় বিশ্বে মোট ১০,১২১ জনের মৃত্যু হয়েছে৷

WHO বলছে, ইতালির থেকে চিনে করোনা- আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ। চিনে এখনও পর্যন্ত ৮০,৯২৮ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর মধ্যে ৭০,৪২০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর ৭,২৬৩ জন চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে ২,২৭৪ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক । উলটো দিকে, ইতালিতে এখনও পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা ৪১,০৩৫। এর মধ্যে ৪,৪৪০ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে উঠেছেন। আর ৩৩,১৯০ জনের চিকিৎসা চলছে। এর মধ্যে ২,৪৯৮ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

ইতালিতে করোনা ভাইরাসে মৃতের হারের এই ভয়াবহ সংখ্যার কারণ চিহ্নিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ একাধিক৷ উল্লেখযোগ্য হল, ইতালিতে প্রবীণ ব্যক্তিদের সংখ্যা খুব বেশি। আর এই মারণ ভাইরাসে প্রবীণ ব্যক্তিরাই সর্বাধিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে বৃহস্পতিবার ইতালিতে মৃত ৮৭ শতাংশের বয়স ৭০ বছরের বেশি।

পাশাপাশি করোনা- আগ্রাসন রুখতে ইতালি সরকারের পদক্ষেপের মধ্যেও নানা ত্রুটি রয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। করোনা সংক্রমণ রুখতে চিনের সর্বাধিক প্রভাবিত এলাকাগুলিতে যেভাবে কঠোরভাবে লক-ডাউন করে দেওয়া হয়েছিল ইতালি ক্ষেত্রে তাতে ঘাটতি ছিল বলে অভিযোগ।