শেষ মুহূর্তেও ফাঁসি থেকে বাঁচার চেষ্টা করেছিল নির্ভয়া কাণ্ডের চার অপরাধী। রাতভর তাদের আইনজীবী এপি সিং বিভিন্ন জায়গায় আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু কোনও পরিকল্পনাই কাজে আসেনি। তিহার জেলে ঠিক সাড়ে পাঁচটায় ফাঁসি হয় চারজনের।
তার আগে সাড়ে তিনটের সময় এই দোষীদের উঠিয়ে স্নান করানো হয়। এরপর নিয়ে যাওয়া হয় তিন নম্বর সেলে, যেখানে তাদের ফাঁসির মঞ্চ প্রস্তুত ছিল। যাওয়ার পথে একজন দোষী শুয়ে পড়ে বলে তিহার জেল সূত্রে খবর। তিন নম্বর সেলে নিয়ে গিয়ে তাদের মৃত্যু পরোয়ানা পড়ে শোনানো হয়। সেখানে একজন পুরোহিতও উপস্থিত ছিলেন। যদি তারা কোনও পুজো-অর্চনা করতে চায় সেই কারণে। এরপর তাদের হাত-পা বেঁধে দেওয়া হয়, মাথায় পরিয়ে দেওয়া হয় কালো কাপড়। একশো কুড়ি সেকেন্ডের কাউন্টডাউন দিতে শুরু করেন জেলের আধিকারিক। ঘড়ির কাঁটায় ঠিক 5 টা 30 মিনিটে সাদা রুমাল ফেলে ফাঁসির সংকেত দেন ম্যাজিস্ট্রেট। তখনই দুটি লিভারে চাপ দিয়ে চার দোষীকে ফাঁসি দেন পবন জল্লাদ। আইন অনুযায়ী, এরপর আধঘণ্টা ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে রাখা হয় চারজনের দেহ। ছটার সময় দেহগুলি নামিয়ে দীনদয়াল উপাধ্যায় হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় জেল কর্তৃপক্ষ। ময়নাতদন্তের ভিডিও রেকর্ডিং করা হবে বলে সূত্রের খবর। তারপরে দেহ তুলে দেওয়া হবে পুলিশের হাতে। দেহ নিয়ে প্রকাশ্যে কোনো যাত্রা হবে না লিখিত দেয়ার পর দেহ তুলে দেওয়া হবে চারজনের পরিবারের হাতে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.