করোনা-মোকাবিলা আজ কী বলবেন প্রধানমন্ত্রী, দেশজুড়ে অন্তহীন কৌতূহল আর জল্পনা

0
12

আজ, বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ সেখানেই করোনাভাইরাস এবং তার মোকাবিলা নিয়ে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তের কথা বলবেন তিনি, এমনই জানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে।

বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত দেশে মোট ১৬৯ জনের দেহে করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্র। করোনার বলি হয়েছেন ৩ জন। ওদিকে, করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ভারতের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছে WHO বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথাও বিশেষভাবে তুলে ধরা হয়েছে।

করোনাভাইরাস আক্রমনের তালিকায় ভারত এখন স্টেজ-টু-তে৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO বলেছে, বর্তমানে বিশ্বের যে সমস্ত দেশে ওই মারণ ভাইরাস থাবা বসিয়েছে সেই তালিকায় “স্টেজ টু”-তে রয়েছে ভারত। দ্বিতীয় পর্যায় মানে এই পরিস্থিতিতে ভাইরাসটি কোথা থেকে ছড়াচ্ছে সে সম্বন্ধে একটি ধারণা পাওয়া গিয়েছে৷ তার ফলে, করোনা’র সঙ্গে লড়াই করা অনেকটা সহজ হয়েছে৷

ভারতে করোনাভাইরাসের কোনও কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী- সংক্রমণের খবর নেই। এই ‘কমিউনিটি ট্রান্সমিশন’-এর প্রকোপ দেখা দিলেই তা হবে ‘স্টেজ-থ্রি’ ৷ এর অর্থ, কোনও একটি বিশেষ গোষ্ঠী থেকে ওই রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এটা মারাত্মক৷

এদিকে প্রধানমন্ত্রী আজ রাতে ঠিক কী বলতে পারেন, তা নিয়ে দেশজুড়ে কৌতূহলের অন্ত নেই৷

◾অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতার কথা মাথায় রেখে, মানুষকে সজাগ করতে এবং সচেতনতা প্রচার করার পরিকল্পনা করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই কথা আজ বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী৷

◾সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে সাময়িকভাবে দেশজুড়ে “শাট-ডাউন” ঘোষণা করতে পারেন প্রধানমন্ত্রী ৷

◾কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বা গোষ্ঠী- সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনে দেশের যে কোনও প্রান্তে প্রয়োজনে Local Lockdown-এর মতো কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে৷ দেশজুড়ে চালু থাকা ১৮৯৭ সালের ‘দ্য এপিডেমিক ডিজিজেস অ্যাক্ট’ বা মহামারি রোগ আইনে এই Local Lockdown-এর উল্লেখ আছে৷ এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা আজ রাতেই করতেই পারেন প্রধানমন্ত্রী৷

◾ ভারতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ঠেকাতে প্রয়োজনে দেশজুড়ে ঢালাওভাবে সেনা বা আধাসেনা নামানোর মতো কড়া পদক্ষেপ করার কথা আজ বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী৷

◾ভারতে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই চালাতে প্রয়োজনে দেশজুড়ে “অভ্যন্তরীণ জরুরি অবস্থা” জারি করার কথাও আজ বলতে পারেন প্রধানমন্ত্রী৷

বুধবার সন্ধ্যায় করোনা ভাইরাস বা COVID-19 মোকাবিলায় একটি উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী৷ সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে, ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়া রুখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা হয়। আরও বেশি করে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা নিয়েও আলোনা করা হয় বৈঠকে। বৈঠকে বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, গোষ্ঠী সংক্রমণ ঠেকানোর সবচেয়ে বড় দু’টি উপায় হল সোশ্যাল আইসোলেশন এবং পাকাপোক্ত কন্ট্যাক্ট ট্রেসিং। সোশ্যাল আইসোলেশন কেন, তা যত ভালো ভাবে জনতার কাছে তুলে ধরা যাবে, গোষ্ঠী সংক্রমণ রুখে দেওয়ার সম্ভাবনা ততই বাড়বে। সাধারন মানুষকে বলা হবে, ভিড় থেকে নিজেকে দূরে রাখা এবং একান্ত প্রয়োজন ছাড়া আক্রান্ত, সন্দেহভাজন এবং অপরিচিত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়াতে হবে৷
এই বৈঠকেই জাতির উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়।প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে দেশে করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া সরকারি পদক্ষেপ এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার দিশা মিলবে বলেই মনে করা হচ্ছে।