এর আগে বহুবার বাড়ি বা দফতরে গিয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেছেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। হাসি মুখেই সেখান থেকে বেরিয়েছেন তিনি। সংবাদ মাধ্যমের সামনে আলোচনার বিষয় নিয়ে বাইটও দিয়েছেন। কিন্তু বুধবার রাতে, বিকাশ ভবনে থেকে তাঁকে যেভাবে বেরতো দেখেন কর্মীরা তাতে সবাই স্তম্ভিত। কারণ, প্রত্যক্ষদর্শীদের বয়ান অনুযায়ী, কাঁদতে কাঁদতে বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান বৈশাখী। কারণ কী? কী বিষয়ে ছিল বৈঠক?
বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, মিল্লি আল আমিন কলেজের পরিচালন সমিতি ও অধ্যক্ষকে নিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। অভিযোগ, সেই বৈঠকে বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে পদে পদে কটাক্ষ করেন শিক্ষামন্ত্রী। কলেজের অভ্যন্তরীণ সমস্যা বেশ পুরনো। বুধবার, কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় এবং পরিচালন সমিতির সদস্যদের বিকাশ ভবনে বৈঠকে বসেন শিক্ষামন্ত্রী। সূত্রের খবর, বৈঠকে বৈশাখী ঢুকতেই না কি তাঁকে ‘করোনাভাইরাস’ বলা হয়। কিন্তু কোনও বিতর্ক জড়াতে না চেয়ে নীরবেই বসেছিলেন বৈশাখী। তাঁকে জানানো হয়, মিল্লি আল আমিন কলেজের শিক্ষকদের প্রাপ্ত সুবিধা কাটছাঁট করা হবে। যে শিক্ষক বৈশাখীকে লাগাতার অপমান করেছেন বলে অভিযোগ, তাঁকেও শিক্ষা দফতরের একটি উঁচু পদে বসানো হবে বলেও জানানো হয়। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও শিক্ষামন্ত্রী জানান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নিয়ম মেনে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এরপরে বৈঠকে উপস্থিত সবাইকে চা দিলেও, তাঁকে দেওয়া হয়নি। ‘অপমানিত’ বোধ করেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মেসেজে সম্পূর্ণ বিষয়টি তিনি বন্ধু শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জানান। শোভনই বান্ধবীকে বৈঠক ছাড়তে পরামর্শ দেন। বৈশাখী যখন বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখনও না কি শিক্ষামন্ত্রী তাঁর উদ্দেশে তীর্যক মন্তব্য করে বলেন, এবার নবান্নে গিয়ে নালিশ জানাবেন বৈশাখী। যার জেরে কার্যত কাঁদতে কাঁদতে বিকাশ ভবন ছাড়েন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে, এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় সংবাদ মাধ্যমকে কিছু জানাতে চাননি।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.