বিস্ময়ের হলেও এটাই বাস্তব, ভারতে তৈরি ওষুধের জন্য যে লবণজাত পদার্থের দরকার হয়, তার ৬৭% আসে চিন থেকে। আরও পরিস্কার করে বললে বলতে হয় ইউহান প্রদেশ থেকে। যে জায়গাটি করোনা ভাইরাসের আঁতুড়ঘর। বর্তমান পরিস্থিতিতে এই ধরণের আমদানি কার্যত বন্ধ। তাহলে ভারতে তৈরি ওষুধের ভবিষ্যৎ কী? মঙ্গলবার লোকসভায় আমজনতার সঙ্গে সম্পর্কিত এই গুরুত্বপূর্ণ বিষটি উত্থাপন করেন তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। প্রত্যুত্তরে রাসায়নিক ও সার দফতরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়া সাংসদের তথ্যকে সংশোধন করে জানান, বিদেশ থেকে মোট আমদানিকৃত রাসায়নিক দ্রব্যের আর্থিক মূল্য ২০১৮-১৯)-এ ছিল ৩৫৬০.৩৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যার মধ্যে চিন থেকেই আমদানি হয়েছে ২৪০৫.৪২ মিলিয়ন ডলারের রাসায়নিক, যা ৬৭%। সরকারি স্তরের খবর ইতিমধ্যে ভারতের কাছে ওষুধ তৈরির জন্য অত্যাবশকীয় এই রাসায়নিক দ্রব্য ২-৩ মাসের মতো জমা রয়েছে। আর এর দেখভালের জন্য একটি কমিটি তৈরি হয়েছে। সেই কমিটির অন্যতম সদস্য ডাঃ ঈশ্বরা রাই জানাচ্ছেন, ইউহান প্রদেশে থেকে যে রাসায়নিকগুলো আসত তার পরিবর্তে অন্য দেশ থেকে তা আনতে হবে। কালোবাজারি রুখতেও হবে। ওষুধের দামও যাতে না বাড়ে, সেটিও দেখবে মনিটারিং কমিটি। সরকার দেশবাসীকে আশ্বস্তও করছে। এ নিয়ে কোনও সংশয় নেই।































































































































