করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে বড় জমায়েত, ভিড়ে নিষেধাজ্ঞা। তা হলে, কীভাবে এপ্রিল মাসে হতে পারে পুরভোট? ১৩ মার্চ, শুক্রবার প্রথম এই প্রশ্ন তুলেছিল ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’। যখন সবার নজর ছিল সোমবারের রাজ্য নির্বাচন কমিশনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকের দিকে। অনেকই পুরভোটের দিনক্ষণ নিয়ে জল্পনাও শুরু করে দিয়েছিল। সেই সময় একমাত্র ‘এখন বিশ্ববাংলা সংবাদ’-এর জানায় করোনা পরিস্থিতিতে এপ্রিলে ভোট হওয়া সম্ভব নয়। কারণ, নির্বাচন তো একজনের বিষয় নয়। এখানে অনেক মানুষ জড়ো হন। ভোট গ্রহণের দিন বা ভোটের লাইনই নয়, রয়েছে প্রচার-মিছিল-রাজনৈতিক সভা। একই সঙ্গে এই ভোটযজ্ঞে জড়িত থাকেন ভোটকর্মী, নিরাপত্তা কর্মীরা। এই সময়ে এধরনের জমায়েত কী করে সম্ভব? প্রশ্ন তোলা হয়, যেখানে ভিড় এড়াতে ডার্বি ও ক্রিকেট ম্যাচ পিছনো হচ্ছে, সেখানে পুরভোট হবে কীভাবে?
এর পাশাপাশি, ভোটের আগে থেকে ভোটকর্মী ও নিরাপত্তা কর্মীরা একসঙ্গে যাতায়ত করেন। এক জায়গায় থাকেন, খাওয়া-দাওয়া করেন। একই শৌচালয় ব্যবহার করেন। যেখানে স্কুল, সিনেমা হল- সব বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সেখানে এঁরা একসঙ্গে থাকবেন কী ভাবে?
করোনার সংক্রমণ রুখতে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার সহ বিভিন্ন জিনিস ব্যবহারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি, ভোটের সময় ভোটকর্মী, বুথকর্মী ও নিরাপত্তা বাহিনীকে মাস্ক, হ্যান্ড স্যানেটাইজার দিতে হয়, তাতে ভোটের খরচ বিপুল বেড়ে যাবে।
সোমবার, সর্বদল বৈঠকে রাজ্য নির্বাচন কমিশনের পক্ষে থেকে জানানো হয়, তাদের প্রস্তুতি সারা। কিন্তু রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্য সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলির সুপারিশে আপাতত পুরভোট হচ্ছে না।
আরও পড়ুন-করোনা সতর্কতা: রাজ্যে ২০০কোটি টাকার ফান্ড, চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিমা ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর





























































































































